অমিত মালবীয়। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পর বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গেল তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, সমাজমাধ্যমে অসত্য খবর রটিয়ে সাম্প্রদায়িক বিবাদ তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতা। এ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে পদ্মশিবিরও।
রবিবার রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের ভোট-প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনা নিয়ে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত। সেই পোস্টটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কমিশনে গিয়েছে শাসকদল। অমিত এক্সের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘তৃণমূল মতুয়া সম্প্রদায়কে ঘৃণা করে। আরও বেশি করে ঘৃণা করে দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু হওয়ার পর থেকে।’’ তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই অসত্য কথাবার্তা বলছে বিজেপি। সাম্প্রদায়িক বিবাদ তৈরির চেষ্টা করছে।
ভোটঘোষণার পরেই দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি চালু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের ভোটঘোষণার পরেই দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি চালু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলেরবক্তব্য, আদর্শ আচরণবিধিতে বলা আছে, ভোটারদের প্রভাবিত করতে কোনও জাতি বা ধর্মের মানুষের আবেগকে ব্যবহার করা যাবে না। কারও আবেগে আঘাত করা যাবে না। বিজেপি নেতা সেই বিধি লঙ্ঘন করেছেন। শাসকদলের দাবি, অমিতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হোক। ভবিষ্যতে বিজেপি প্রার্থী-নেতা-কর্মীরা যাতে এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন, সেই নির্দেশ দেওয়া হোক। পাশাপাশি শীঘ্রই অমিতকে এক্স হ্যান্ডলের পোস্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দিক কমিশন।
এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছে পদ্মশিবির। দলের এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘সত্যকে কখনও সহ্য করতে পারে না তৃণমূল। নিজেরা যে হেতু ধর্মীয় উস্কানির রাজনীতি করেন, তাই সবেতেই ওই গন্ধ পায়।’’