রাজু বিস্তা। —ফাইল চিত্র
দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ফের রাজু বিস্তার নাম ঘোষণা করা হলে ইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। রবিবার বিজেপির পঞ্চম প্রার্থিতালিকায় দেখা যায় দার্জিলিঙের বিদায়ী বিধায়ক রাজুর উপরে এ বারও ভরসা রাখতে চাইছে পদ্মশিবির। দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই বিষ্ণু জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজুর বিরুদ্ধে ভোটে লড়বেন।
গোড়া থেকেই ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিষ্ণু। অনেক দিন ধরেই দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন যে, এ বার দার্জিলিং লোকসভা আসনে বাইরের কোনও মুখকে ভোটে লড়তে দেওয়া যাবে না। প্রার্থী করতে হবে ভূমিপুত্রকেই! বিধায়কের এই দাবিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে দলের অন্দরে মন্থন শুরু হয়। রবিবার বিস্তার নাম ঘোষণার পরেও সেই ভূমিপুত্র দাবিকে সামনে রেখেই ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিষ্ণুপ্রসাদ। এর পাশাপাশি প্রার্থী হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিস্তাকেও।
বিষ্ণুপ্রসাদের ভোটে লড়ার হুঁশিয়ারির আবহেই দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ভেসে উঠেছিল প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রিংলার নাম। কিন্তু পাহাড়ে প্রার্থিবদলের পথে না হেঁটে বিজেপি দ্বিতীয় বার বিস্তাকেই প্রার্থী করল দার্জিলিং আসনে। তবে এর পিছনে অনেক নাটকও রয়েছে। পাহাড়ে অনুগামীদের দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো ছাড়াও রাজু রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এমন বার্তাও পৌঁছে দিয়েছিলেন যে, দল টিকিট না দিলে তিনি নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শ্রিংলার জয় অনিশ্চিত করে দেবেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজুর হুঁশিয়ারি এবং গোর্খা ভোটের অঙ্কই শ্রিংলার পাহাড়ে চড়ার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে।
অন্য দিকে, শ্রীংলার জন্ম মুম্বইয়ে হলেও শ্রিংলার পারিবারিক যোগ রয়েছে দার্জিলিঙে। সেই হিসাবে তিনি নিজেকে পাহাড়ের ‘ভূমিপুত্র’ হিসাবে পরিচয় দেন। এ নিয়ে অনেক বিতর্কও তৈরি হয়েছে।