তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষীর ভান্ডার’-এর মতো প্রকল্প মহিলাদের ‘ইজ্জত’ বাড়িয়েছে। ‘কন্যাশ্রী’র মতো প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছেন প্রান্তিক পরিবারের মহিলা সদস্যরা। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নতিকল্পে প্রকল্পের প্রশংসা করলেন তৃণমূলের তারকাপ্রার্থী ইউসুফ পাঠান। সেই সঙ্গে দলের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন তিনি। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে জয়যুক্ত হওয়ার জন্য তিনি দলের ‘মা-বোনদের দুয়া’ চান।
মঙ্গলবার তৃণমূলের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পাঠান প্রচারে বেরিয়ে মহিলা কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য যে সব প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন, তার প্রশংসা করেন। দুপুরে বেলডাঙা পুরসভার কমিউনিটি হলে দলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা মহিলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক এবং পরে কর্মিসভা করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানাও। সেখানে পাঠান বলেন, ‘‘আমি বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু এখানে আমি আজ আপনাদের ভাই হয়ে এসেছি। অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক জন মহিলা। আর আজকের সভায় উপস্থিত মহিলাকর্মীদের কাছে আমি দুয়া এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।’’
এর পর রাজ্য সরকারের প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে পাঠান বলেন, ‘‘আমি আপনাদের সকলের মূল্যবান ভোট চাইতে এসেছি। যাতে মমতা ব্যানার্জির সরকারের হয়ে ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজ করতে পারি। আপনাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ‘লক্ষীর ভান্ডার’, ‘কন্যাশ্রী’র মতো প্রকল্প দিয়েছেন। ‘লক্ষীর ভান্ডার’ আপনাদের ইজ্জত বাড়িয়ে দিয়েছে। শিক্ষার সুযোগ দিয়েছে কন্যাশ্রী। তাই আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই আমাকে ভোট দেবেন।’’
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘এখানকার সমস্ত মায়ের ‘দুয়া’ আমার সঙ্গে থাকলে ভোটে কেউ আমায় পরাস্ত করতে পারবে না। আমি এখানকার সমস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে কাজ করতে এসেছি। তৃণমূল সরকার যে প্রকল্পগুলো চালু করেছে, সেগুলো যাতে আরও ভাল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার চেষ্টা করব। পাশাপাশি মহিলারা যাতে ‘কন্যাশ্রী’ এবং ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর মতো প্রকল্পের সুবিধা বেশি করে পান তার চেষ্টাও করব।’’