শত্রুঘ্ন সিন্হা অভিনীত ‘কালকা’ সিনেমা দেখিয়ে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। —নিজস্ব চিত্র।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের খনি এলাকাগুলিতে দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা অভিনীত সিনেমা দেখিয়ে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। একাধিক কলিয়ারিতে দেখানো হচ্ছে শত্রুঘ্নের ‘কালকা’। প্রসঙ্গত, এই সিনেমাটি ঝাড়খণ্ডের চাষনালা কোলিয়ারির দুর্ঘটনা নিয়ে তৈরি। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। বিজেপির দাবি, এতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। যদিও বিধি লঙ্ঘনের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
সোমবার সন্ধ্যায় বেলবাঁধ কোলিয়ারি, পোরাশিয়া কোলিয়ারি, বাঁশরা কোলিয়ারি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় স্ক্রিন টাঙিয়ে সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের আইটি সেলের পক্ষ থেকে শিবম কোনার ও মাধব দাস সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করেন। শিবম বলেন, ‘‘কালকা সিনেমাটা দেখানো হচ্ছে। এই সিনেমায় ঝাড়খণ্ডের চাষনালা খনি দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে।’’ তৃণমূলের দাবি, খনি এলাকার মানুষের সাড়াও পাচ্ছেন তাঁরা। কোলিয়ারি এলাকার বাসিন্দা নির্মল বাউরি বলেন, ‘‘বহু পুরনো এই সিনেমা হলেও আমরা এই সিনেমা বড় পর্দায় দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে।’’ মণীশ ভুঁইয়া নামে আর এক জন বলেন, ‘‘পরিবারের সকলে মিলে সিনেমা দেখছি। যেখানে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আমাদের এখানকার সাংসদ।’’
তৃণমূলের এই প্রচার কৌশল নিয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাস্তব আর সিনেমার মধ্যে অনেক তফাৎ। টিভির পর্দায় নেতা হওয়া একটা আর্ট। আর মানুষের ভোট পাওয়াটা এক প্রকার আশীর্বাদ পাওয়ার মতো। এতে তো নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। সিনেমা দেখিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা। লাভ হবে না। শত্রুঘ্ন সিন্হাকে এ বার হারতে হবে।’’
পাল্টা তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা করে মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, শত্রুঘ্ন সিন্হা কী ভাবে কাজ করতেন। কী ধরনের সিনেমা করতেন। এটা কোনও প্রলোভন নয়। একটু কোলিয়ারি এলাকার মানুষদের আমোদপ্রমোদের ব্যবস্থা করা। এখানে কোনও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে না।’’