পুরুলিয়া স্টেশনে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে নামার আগে রবিবার অর্থাৎ আজ ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় খানিকটা ওয়ার্ম-আপ করে নিচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। ব্রিগেডের ময়দান থেকেই লোকসভার ভোটের প্রচারের সুর চড়াবেন দলের নেত্রী। সভা নিয়ে জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ তুঙ্গে। শনিবারই বাস, ছোটগাড়ি ও হাওড়া, শিয়ালদহগামী একাধিক ট্রেনে করে পুরুলিয়া থেকে কলকাতা রওনা হন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুরুলিয়া থেকে অন্তত ৩৫-৪০ হাজার মানুষ জনগর্জন সভায় হাজির থাকবেন।
আজকের ব্রিগেডে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী-সমর্থক হাজির করতে জেলা স্তরের নেতারা বিভিন্ন ব্লকে সভা করেছেন। ট্রেনে কলকাতা পৌঁছতে দলীয় কর্মীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দিতে বিভিন্ন স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতারা। শনিবার পুরুলিয়া স্টেশনে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো, আদ্রা স্টেশনে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার উপস্থিতি নজর কেড়েছে।
কলকাতায় পৌঁছে কর্মী-সমর্থকেরা কোথায় থাকবেন, সে বিষয়ে জেলা স্তরের প্রস্তুতি সভায় আগেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। দলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এ বারে আলিপুরে উত্তীর্ণতে কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, আগেই জেলা থেকে একটি দল কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। এদিক থেকে যাওয়া কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবেন তাঁরাই। কর্মীদের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। ব্রিগেডমুখী মহিলা তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ এবার চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিকে ব্রিগেডের ময়দানে আদিবাসীদের উজ্জ্বল উপস্থিতির দাবি করছেন তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “রানিবাঁধ, রাইপুর, সারেঙ্গা, সিমলাপাল ব্লকে আদিবাসী সমর্থকদের জন্য পাঁচটি করে বিশেষ বাস দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা থেকে ভাড়া করা হয়েছে ১৮০টি বাস। ট্রেনেও ছাতনা, মেজিয়া, বাঁকুড়া থেকে কর্মীরা কলকাতায় গিয়েছেন। বাঁকুড়া থেকেই প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্রিগেডে যাচ্ছেন বলে দাবি তাঁর। পিছিয়ে নেই তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলাও। জেলার দলীয় সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, সভার জন্য ২৫২ টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ব্লক পিছু ৩০টি ছোট গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা থেকে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী ব্রিগেডের সভায় যেতে চলেছেন বলে প্রত্যয়ী তিনি।