গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সেই সুবিধা পেয়েও তিনি বিজেপি প্রার্থী হয়ে দ্বিচারিতার রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার দলের তৃণমূলের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে আক্রমণ করার পাশাপাশি তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ট্যাগ করা হয়েছ। তৃণমূলের পক্ষে লেখা হয়েছে, ‘‘হাতেনাতে ধরা পড়েছে। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের দ্বিচারিতার খেলা ধরা পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের সুযোগসুবিধা নিয়ে নিজে দিল্লির জমিদারদের সহযোগী হয়েছেন।’’ এর পর প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘আপনি আগামী বার যখন ফোন করবেন, তখন জেনে নেবেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যাপারটা। আমাদের নেত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারতকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।’’ এমন লেখার সঙ্গে সঙ্গে সমাজমাধ্যমে রেখার নামের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটিও পোস্ট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রার্থী হওয়ার পরেই রেখাকে ফোন করেছিলেন মোদী। সেই কারণেই তৃণমূলের আক্রমণের তির মোদীর দিকেও। এমন আক্রমণের জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়। তৃণমূলের আক্রমণের জবাবে তিনি লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধিক্কার! সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের অবজ্ঞা করার জন্য তৃণমূলের নীচ রাজনীতি এই যে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে তার জন্য দায়ী থাকবে তৃণমূল।’’ ওই কার্ডের ছবি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল বেহাল হয়েছে। বাংলা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ অন্যান্য রাজ্য থেকে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দেননি।’’
নির্বাচন কমিশনকে যুক্ত করে তৃণমূলের এমন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করছি। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বাসিন্দার সব তথ্য যেন সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিয়ে সেই সব তথ্যের অপব্যবহার করছে।’’