(বাঁ দিক থেকে) নয়না চৌটালা, সুনয়না চৌটালা এবং রঞ্জিত সিংহ চৌটালা। ছবি: সংগৃহীত।
পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছায়া ফেলল ভোটের লড়াইতেও। একই লোকসভা কেন্দ্রে ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছেন দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী দেবীলালের এক ছেলে এবং দুই পুত্রবধূ। হরিয়ানার হিসার কেন্দ্রে ওই তিন জন তিনটি দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অতীতে একাধিক কেন্দ্রে দ্বিমুখী পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গিয়েছে। চলতি লোকসভা নির্বাচনেও তেমন নজির রয়েছে। তবে ত্রিমুখী পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রায় নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে।
হিসার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দেবীলালের পুত্র রঞ্জিত সিংহ চৌটালাকে। একদা দেবীলাল প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি) প্রার্থী করেছে দলের মহিলা শাখার সম্পাদক সুনয়না চৌটালাকে। সুনয়না দেবীলালের কনিষ্ঠ পুত্র প্রতাপ সিংহ চৌটালার পুত্র রবি চৌটালার স্ত্রী। অন্য দিকে, আইএনএলডি ভেঙেই তৈরি হওয়া নতুন দল জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)-র প্রার্থী হয়েছেন দেবীলালের আর এক পুত্র তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার পুত্র অজয় সিংহ চৌটালার স্ত্রী নয়না চৌটালাকে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হিসার আসনে জয়ী হয়েছিলেন নয়নার পুত্র তথা হরিয়ানার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপি প্রার্থী ব্রিজেন্দ্র সিংহের কাছে হেরে যান। আমলা থেকে রাজনীতিক হওয়া ব্রিজেন্দ্র লোকসভা ভোটের আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সম্ভবত এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হতে চলেছেন তিনিই।
এক সময় হরিয়ানার রাজ্য রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক আইএনএলডি ২০১৯ সালে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। অজয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা তৈরি করেন নতুন দল জেজেপি। পুরনো দলে রয়ে যান ওমপ্রকাশ এবং তাঁর পুত্র অভয়। সম্প্রতি পুরনো দলে ফিরতে শর্ত দিয়েছিলেন অজয়। জানিয়েছিলেন, ওমপ্রকাশ উদ্যোগ নিলে তিনি নিজের দলকে পুরনো দলের সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন। তবে সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে অভয় জানান, বিশ্বাসঘাতকদের কোনও প্রয়োজন নেই।
আইএনএলডি প্রার্থী নয়না দু’বারের বিধায়ক। বর্তমানে চরকি দাদরি জেলার বধরা কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী রঞ্জিত দীর্ঘ দিনের রাজনীতিক। এক সময় দেবীলাল মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। হয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদও। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে ছিলেন আইএনএলডি, জনতা দল, এমনকি কংগ্রেসেও। ২০১৯ সালে হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে রানিয়া কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন তিনি। হন মন্ত্রীও। গত মাসে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।