(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধী এবং নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে যে তিনি লড়বেন না তা আগেই জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। পরে রাজস্থান থেকে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে কংগ্রেস। রবিবার সেই রাজস্থানে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাম না করে সনিয়াকে খোঁচা দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা নির্বাচনে লড়াই করে জিততে পারেন না, তাঁরাই মাঠ ছাড়েন। আর রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় যান।’’
রবিবার মোদী মরুরাজ্যের জালোরে বিজেপি প্রার্থী লুম্বারাম চৌধুরীর সমর্থনে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন। প্রচারের মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। রাজস্থান থেকে যে সব কংগ্রেস নেতানেত্রী রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তাঁদের কটাক্ষ করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস প্রথমে দক্ষিণ থেকে এক জন নেতাকে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেও রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর তাঁকে কি আর রাজ্যে দেখতে পাওয়া গিয়েছে?’’
এর পরই মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের আর এক জনও এখন রাজস্থান থেকে রাজ্যসভা গিয়েছেন। যাঁরা নির্বাচনে লড়াই করে জিততে পারেন না, তাঁরাই রাজস্থানে আসেন। কংগ্রেস পরিবারবাদ এবং দুর্নীতি ছড়িয়ে দেশকে ফাঁকা করে দিয়েছে। দেশের তরুণরা কংগ্রেসের প্রতি এতটাই ক্ষুব্ধ যে তারা আর তাদের মুখ দেখতে চায় না।’’
এখানেই থেমে থাকেননি মোদী। তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রথম দফার ভোটে রাজস্থান অর্ধেক কংগ্রেসকে শাস্তি দিয়েছে। দেশপ্রেমে ভরপুর রাজস্থান জানে যে কংগ্রেস কখনই ভারতকে শক্তিশালী করতে পারবে না। ২০১৪ সালের আগে দেশের যে অবস্থা হয়েছিল, তা আর কেউ চায় না। কংগ্রেস দল নিজেই তার বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী। যে দল একটা সময় ৪০০ আসন জিতেছিল, এ বার সেই দলই ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।’’
রাজস্থানে এ বার দু’দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৫ লোকসভা আসনের রাজস্থানে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে শুক্রবার। ১৯ এপ্রিল ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হয় এই রাজ্যে। বাকি ১৩ আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। সেই দফাতেই ভোট রয়েছে জালোরে। এই আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের পুত্র বৈভব।