মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে সব রাজনৈতিক পক্ষ। এ বার তার জবাবে পঞ্চায়েত স্তরের ত্রুটি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার পুরুলিয়া জেলার হুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোর সমর্থনে আয়োজিত সভায় এ প্রসঙ্গে নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি।
মমতা জানান, পঞ্চায়েত স্তরে গন্ডগোল ছিল। সেটা সংশোধন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির গদ্দারেরা বলেছে টাকা দেবেন না। তদন্ত করুন। করে কী হল? উত্তরপ্রদেশেও তদন্ত করতে গিয়েছিল। ৮৫ লাখ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। ২৮টি প্রকল্পে কিছু গন্ডগোল ছিল। আমরা সংশোধন করেছি। সব পঞ্চায়েত আমাদের হাতে নেই। বিজেপিরও রয়েছে। তোমার পঞ্চায়েত চুরি করলে তোমার দায়িত্ব। প্রচুর জায়গায় বাম-রাম-কংগ্রেস একসঙ্গে রয়েছে। তুমি চুরি করলে আমার দায়িত্ব? আগে রাজ্য সরকার পর্যবেক্ষণ করত। এখন কেন্দ্র করে।’’
রবিবার পুরুলিয়া জেলার হুড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী সভা শেষ করার কিছু ক্ষণ পরে জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিও রাজ্য সরকারের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। মোদী বলেন, ‘‘দরিদ্রদের জন্য কেন্দ্রের প্রকল্পের উপর এখানকার তৃণমূল সরকার ব্রেক কষে দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার গরিবদের পাকা ঘরের জন্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছে। আমরা বলেছিলাম, টাকা যেন সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যায়। কিন্তু তৃণমূল বলছে, কেন্দ্রের টাকা আগে তাদের কাছে যেতে হবে। আপনারাই বলুন, জনতার টাকা আমি তৃণমূলকে কি দিতে পারি?’’
লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলকে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ করতে চাইছেন। পাল্টা তৃণমূলও সেই অভিযোগ খণ্ডন করে তারা পঞ্চায়েত স্তরে কী কী করেছে, সেগুলি তুলে ধরতে চাইছে। পুরুলিয়ার সভায় মমতা বলেছেন, ‘‘যাঁদের মাটির বাড়ি, তাঁদের একটাই কথা বলতে চাই, মোদী সরকার, বিজেপি সরকার কিন্তু আপনাদের জন্য কোনও টাকা দেয়নি। একশো দিনের কাজের টাকা দেয়নি। আমাদের সরকার ৫৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা দিয়েছে।’’