ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। —ফাইল চিত্র।
বিহারের পূর্ণিয়া লোকসভার নির্দল প্রার্থী পাপ্পু যাদব নিজের ভোটের খরচের জন্য অর্থ চেয়ে সাধারণ মানুষের জন্য একটি ইউপিআই নম্বর চালু করেছেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ টাকা জমা পড়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। দেশের লোকসভা ভোটে প্রার্থীরা এমনই নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করছেন। সেই পর্যায়েই ভোটারদের জন্য কিউআর কোডের ব্যবস্থা করেছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক।
পার্থর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ব্যারাকপুর থেকেই। ছাত্র থেকে শুরু করে যুব রাজনীতি করেছেন এই শিল্পাঞ্চলেই। ২০১১ সালে ব্যারাকপুর লোকসভার অধীন নৈহাটি বিধানসভা থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে জায়গা পেয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভায়। কিন্তু এ বার সেই পার্থকেই ব্যারাকপুর থেকে লোকসভার প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপি থেকে তৃণমূল এসে লোকসভা ভোটের টিকিট না পেয়ে আবারও বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন অর্জুন সিংহ। এমন যুদ্ধে নেমে তাই নতুন পদ্ধতিতে ব্যারাকপুরের মানুষের থেকে নতুন করে মতামত নেওয়ার কথা ভেবেছেন তিনি।
আপাতত ঠিক হয়েছে ব্যারাকপুর লোকসভার সাতটি বিধানসভা ব্যারাকপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, নোয়াপাড়া, জগদ্দল এবং আমডাঙাতে একটি করে কিয়স্ক বসানো হবে। সেই কিয়স্কেই থাকবে কিউআর কোডটি, সেখানে স্ক্যান করলেই ব্যারাকপুরে বাসিন্দারা নিজ নিজ পরামর্শ দিতে পারবেন পার্থকে। এ ছাড়াও মুঠোফোনের যুগে নেতা-কর্মীরাও কিউআর কোডটি ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেবেন। সেখানে পাওয়া মতামত তৃণমূল নেতৃত্ব প্রার্থীর কাছে পৌঁছে দেবেন।
কিউআর কোডের মাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি চালু করার ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা নিয়েছেন নৈহাটি টাউন তৃণমূলের সভাপতি সনৎ দে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই সাধারণ মানুষ আমাদের প্রার্থীর কাছে কী চান, তা যেন তিনি জানতে পারেন। মানুষ যেমনটা চাইবেন আমাদের প্রার্থী সেই ভাবেই প্রচার করবেন। এমনকি, যে সব পরামর্শ ব্যারাকপুরের মানুষ দেবেন, জয়ী হয়ে তা কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের ব্যবস্থা করবেন তৃণমূল প্রার্থী।’’