জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
গত লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের তুলনায় এ বারের প্রথম দফায় ভোট কম পড়েছে। শতকরার বিচারে প্রায় চার শতাংশ। ভোটদানের হার কম হওয়ায় বিজেপি যেমন চিন্তিত তেমনি উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশনও। তাদের মতে, কম ভোট পড়ার একটি অন্যতম কারণ তাপপ্রবাহ। এই আবহে আজ কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের দিন পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক থাকবে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল যে ১২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে, সেই এলাকাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
পাঁচ বছর আগে লোকসভার প্রথম পর্বে ভোট পড়েছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। এ বার প্রথম পর্বে কত ভোট পড়েছে, তা কমিশন এখনও সরকারি ভাবে জানায়নি। সূত্রের মতে, ভোটদানের হার ৬৬ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ প্রায় চার শতাংশের কাছাকাছি কম ভোট পড়েছে। যা এক দিকে উদ্বেগে রেখেছে শাসক দল বিজেপিকে। তেমনি দীর্ঘ জনসচেতনতা প্রচার চালানো সত্ত্বেও ভোটদানের হার কমে যাওয়া কমিশনের কাছে চিন্তার বিষয়। প্রাথমিক কারণ বিশ্লেষণে কমিশনের আধিকারিকেরা মনে করছেন, গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহের কারণে ভোটদাতারা বুথমুখো হননি। এই পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণের দিন আবহাওয়ার মেজাজ কেমন থাকবে, তা বুঝতে আজ আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। পরে কমিশন জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার যে রাজ্যগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে সেখানকার আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। পাশাপাশি, ভোট চলাকালীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের গতি-প্রকৃতি বুঝতে একটি টাস্ক ফোর্সও গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যারা ভোটের পাঁচ দিন আগে থাকতে রাজ্যগুলির আবহওয়া বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করবে কমিশনকে।