বিজয় থলপতি। ছবি: সংগৃহীত।
বিগত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। এ বার তা সত্য বলেই প্রকাশ্যে এল। তামিল সুপারস্টার বিজয় এ বার রাজনীতিতে পা রাখলেন। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ঘোষণা করলেন তাঁর রাজনৈতিক দলের নাম। বিজয় তাঁর দলের নাম রেখেছেন ‘তামিলাগা ভেটরি কাজ়াগম’। শুক্রবার অভিনেতার ফ্যান ক্লাবের সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ঘোষণা করা হয়েছে।
বিগত কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন ছিল। বিজয় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়তে পারেন। কিন্তু নিজের দল ঘোষণার পর বিবৃতি দিয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন যে তাঁর দল আসন্ন নির্বাচনে লড়বে না এবং অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না। দলীয় বৈঠকেই নাকি অভিনেতা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে যোগ দেন বিনোদন জগতের তারকারা। এই চল দক্ষিণ ভারতে নতুন কিছু নয়। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতকে পথ প্রদর্শকও বলা যেতে পারে। বিভিন্ন সময় বিনোদন জগতের তারকা এসেছেন রাজনীতিতে। তার সব থেকে বড় দৃষ্টান্ত ছিলেন এমজি রামচন্দ্রন, জয়ললিতা, বৈজন্তিমালা, শিবাজি গণেশনরা। এ ছাড়াও রয়েছেন কমল হাসন, ‘ক্যাপ্টেন’ বিজয়কান্ত, সরথকুমারের মতো তারকারা। এ বার সেই তালিকায় নতুন নাম থলপতি বিজয়ের। তবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নয়, অভিনেতার লক্ষ্য ২০২৬-এর তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, আগামী দিনে অনুরাগীদের কথা মাথায় রেখে তামিলনাড়ুর বাইরে কেরল ও কর্নাটকেও সংগঠন গড়তে সক্রিয় বিজয়।
বিজয় যে রাজনীতিতে পা রাখতে পারেন, গত বছর জুন মাসে তা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। চেন্নাইয়ে ছাত্রদের একটি ছাত্রদের মিছিলে যোগ দেন অভিনেতা। সেখানে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতাদের থেকে টাকা না নেওয়ার ছাত্রদের তাদের অভিভাবকদের বোঝানোর জন্য অনুরোধ করেন অভিনেতা। বিজয়ের দলের নাম প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা সমাজমাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
‘মার্শাল’, ‘থুপাক্কি’, ‘মাস্টার’ এবং ‘লিও’র মতো সুপারহিট ছবিতে বিজয়কে দেখেছেন দর্শক। উনপঞ্চাশ বছরের এই অভিনেতার নাচেও মাতোয়ারা অনুরাগীরা। সূত্রের খবর এই মুহূর্তে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সিনেমা থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন অভিনেতা। আগামী দিনে সিনেমা এবং রাজনীতি তিনি কী ভাবে ভারসাম্য রাখেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।