জয়ন্ত চৌধরি। — ফাইল চিত্র।
সংসদের সেন্ট্রাল হলে শুক্রবার এনডিএ-র বৈঠকের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মঞ্চে হাজির ছিলেন সহযোগী প্রায় সব দলের নেতাই। ব্যতিক্রম রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) প্রধান জয়ন্ত চৌধরি। মঞ্চ থেকে অনেকটা দূরে পিছনের সারিতে একাই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে।
লোকসভা ভোটে বিজেপির সহযোগী হয়ে উত্তরপ্রদেশে দু’টি আসনে জিতেছে আরএলডি। শুক্রবারের বৈঠকে মোদীর মঞ্চে টিডিপির চন্দ্রবাবু নায়ডু, জেডিইউ-এর নীতীশ কুমার, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে, এলজেপিআর-এর চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গেই বসেছিলেন, দু’টি করে লোকসভা আসনে জেতা জেডিএসের এইচডি কুমারস্বামী, জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ।
এমনকি, একটি করে লোকসভা কেন্দ্রে জেতা অজিত পওয়ার (এনসিপি), জিতনরাম মাঝিঁ (হাম), অনুপ্রিয়া পটেল (আপনা দল সোনেলাল)-ও বসেছিলেন মোদী-শাহদের সঙ্গে। তাঁর বক্তৃতা করার সুযোগও পেয়েছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম জয়ন্ত। ঘটনার জেরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে। জয়ন্ত শেষ পর্যন্ত এনডিএ ছাড়বেন কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
যদিও আরএলডির তরফে একে ‘ছোট ঘটনা’ বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোট ঘোষণার পরে গত মার্চে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশের সঙ্গ ছেড়ে এনডিএ-তে শামিল হয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধরি চরণ সিংহের নাতি তথা প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত সিংহের ছেলে জয়ন্ত। যদিও লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের প্রাক্তনী তথা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এই প্রভাবশালী জাঠনেতা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ঘটনাচক্রে, জয়ন্তের এনডিএ-তে যোগদানের ঠিক আগেই মোদী সরকার প্রয়াত চরণকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল।