মৌসম নুর। —ফাইল চিত্র।
ব্রিগেডের ‘জনগর্জন’ সমাবেশ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। মালদহে তৃণমূলের কর্মসূচিতে এখনও ‘অনুপস্থিত’ রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর। অথচ, গত রবিবার তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত উত্তর মালদহের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থেকেছেন তিনি। ভোটের মুখে, দলীয় কর্মসূচিতে মৌসমের অনুপস্থিতি নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।
লোকসভা ভোটের মুখে এই চর্চা বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা গনি পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “মৌসম দু’বারের সাংসদ। তিনি কংগ্রেসে এলে, দল আরও শক্তিশালী হবে। মৌসমের জন্য কংগ্রেসের দরজা খোলা রয়েছে। তবে মৌসম দলবদল নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দলে বড় কোনও নেতা-নেত্রী যোগদান করলে, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করেন।”
যদিও দলবদলের দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর বলেন, “দলবদলের সম্ভাবনা ভিত্তিহীন। শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় জেলার বাইরে আছি। কিছু দিনের মধ্যে জেলায় ফিরে দলের কর্মসূচিতে যোগ দেব।” দলের হয়ে কি প্রচারে নামবেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দল যে ভাবে প্রচার করতে বলবে, সে ভাবেই প্রচার চালাব।” ২০০৮ সালে বিধায়ক এবং ২০০৯ ও ২০১৪ সালে কংগ্রেসের টিকিটে উত্তর মালদহ কেন্দ্রে জয়ী হয়ে সাংসদ হন গনির ভাগ্নি মৌসম। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে দলবদলে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়ে বিজেপির কাছে হারেন তিনি। পরে তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতি হন। এখন তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। এ বারের লোকসভা ভোটে মৌসমকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, মৌসমকে উত্তর মালদহ কেন্দ্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তৃণমূলের কর্মসূচিতে মালদহের উত্তরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত তিনি চষে বেড়ান। ব্লক স্তরে তাঁর অনুগামীরাও আসরে নেমে পড়েছিলেন। তবে দল মৌসমের বদলে উত্তর মালদহে জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে। প্রার্থী ঘোষণার দিন জনগর্জন কর্মসূচিতে ছিলেন মৌসম। তবে তিনি জেলায় না ফেরার তাঁকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রসূনেরও দাবি, “মৌসম প্রচারে নামবেন। তাঁর অভিজ্ঞতা বাড়তি সুবিধা দেবে।”