প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শনে দার্জিলিং জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার কাওয়াখালি মাঠে। —নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিং আসনের প্রার্থীপদ নিয়ে বিজেপির অন্দরে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং রাজু বিস্তার ‘শিবিরের’ মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। বর্তমান সাংসদের হয়ে এখনও সক্রিয় দলের একাংশ বিধায়ক ও নেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন রাজ্য সফরের এক বা দু’দিন আগেই প্রার্থী ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। ৮ মার্চ, ঘোষণার আপাতত দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। তবে দিল্লি থেকে কিছু বদল হলে, আগেও তা করা হতে পারে। দার্জিলিং জেলার নেতারা প্রার্থী নিয়ে সরাসরি এখন কিছু না বললেও, রাজু বিস্তার হয়েই দলীয় স্তরে দরবার করছেন বলে সূত্রের খবর।
শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ থেকে শুরু করে জেলার সমতলের সভাপতি অরুণ মণ্ডল বা পাহাড়ের সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান বিস্তার পক্ষেই আছেন তা স্পষ্ট। পাঁচ বছরের সফল সাংসদ, জেলার বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ রাখা, উন্নয়নের কাজের নিরিখে সামনের সারিতে থাকা— বিস্তার হয়ে এ সব নানা যুক্তি দিল্লিতে তুলে ধরা হয়েছে। তেমনই, বিস্তা দলের জাতীয় স্তরে অন্যতম মুখপাত্র শুধু নন, কেন্দ্রীয় যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদকও। পাঁচ বছর পাহাড়ের ফলাফল যা-ই হোক, শরিকদের তিনি একত্রিত রেখেছেন, তা-ও বলা হচ্ছে। সেখানে দার্জিলিঙের সঙ্গে পারিবারিক সূত্রে যোগাযোগ এবং দেশের প্রাক্তন বিদেশ সচিব ছাড়া, শ্রিংলার ঝুলিতে কিছু নেই বলেও জানানো হচ্ছে।
জেলার নেতাদের একাংশ মনে করছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিস্তাকে টিকিট না দিলে, প্রথম তালিকায় শ্রিংলার নাম চলে আসত। দ্বিতীয় বার আসনটি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে বলেই প্রার্থীপদ ঘোষণা হয়নি। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘দলের তরফে দ্রুত প্রার্থী নাম ঘোষণা হলে গেলে সবাইকে কাজে নেমে পড়বেন। কে প্রার্থী হবেন, তা দলের সিদ্ধান্ত। তবে রাজু বিস্তার মতো সফল সাংসদ কম আছেন।’’
সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে গিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। এই মাঠে ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা করার কথা রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে করে কর্মী নেতারা মাঠে আসবেন। সে সভা বন্দোবস্ত ঘুরে দেখেন সমতলের সভাপতি অরুণ মণ্ডল, রাজ্যের সহ কোষাধ্যক্ষ প্রবীণ আগরওয়াল-সহ দলীয় নেতারা। অরুণ সেখানে বলেন, ‘‘রাজু বিস্তা যে ভাবে মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে প্রার্থী কে হবেন, তা দলের বিষয়।’’