অখিলেশ যাদব। — ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের সঙ্গে লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে। তার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে আরও ১১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল সমাজবাদী পার্টি। এর আগে ১৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। তার পরেও সমঝোতা থমকেই ছিল। সেই নিয়ে সোমবার সকালেই কংগ্রেসকে শর্ত দিয়েছিলেন দলের প্রধান অখিলেশ যাদব। কয়েক ঘণ্টা পর আরও আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল এসপি। এর মধ্যে গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারির ভাই আফজল আনসারিকে গাজ়িপুরে প্রার্থী করেছে অখিলেশের দল। মুজফ্ফরনগরে প্রার্থী করা হয়েছে হরেন্দ্র মালিককে। তিনি সেখানে দলের লোকসভা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
২০২৩ সালের এপ্রিলে গাজিপুরের বিশেষ আদালত মুখতার এবং আফজলকে দোষী সাব্যস্ত করে। মুখতারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আফজলকে চার বছরের। মুখতার বিধায়ক ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজ়িপুরের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণনদ রাই খুন হন। ১৯৯৭ সালে বারাণসীর ব্যবসায়ী নন্দকিশোর রুংতাকে অপহরণ করা হয়। এই দুই মামলায় আনসারি ভাইদের ২০০৭ সালের গ্যাংস্টার আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই সাংসদপদ খারিজ হয় আফজলের। এ বার সেই আফজলকে প্রার্থী করল এসপি।
অন্য দিকে, হরেন্দ্রকেও প্রার্থী করেছে অখিলেশের দল। মনে করা হচ্ছে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে জাট ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় লোকদলকেও বার্তা দিতে চেয়েছে অখিলেশ। প্রসঙ্গত, হরেন্দ্র রাষ্ট্রীয় লোকদলের প্রার্থী হয়ে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে এনডিএ-রা হাত ধরেছে রাষ্ট্রীয় লোকদল। তাদেরই এ বার এসপি কড়া বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছে দলের একাংশ।
কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা অনেক দিন ধরেই পাকা করে ফেলতে চাইছে এসপি। সেই নিয়ে আগে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন সাংসদ তথা অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদব। একটি সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মোট ৮০টির মধ্যে মাত্র ১৫টি আসনে লড়াই করার প্রস্তাব দিয়েছে অখিলেশের দল। কংগ্রেস এই শর্ত মেনে নিলে তবেই উত্তরপ্রদেশে জোট বেঁধে লড়াই করবে দুই দল। আর কংগ্রেসের এই শর্তে রাজি হওয়া বা না-হওয়ার উপরেই নির্ভর করছে অখিলেশ যাত্রায় যোগ দেবেন কি না। সোমবার দুপুরের দিকে অখিলেশ নিজেই জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত না হলে তিনি বা তাঁর দলের কেউ রাহুলের যাত্রায় যোগ দেবেন না।