আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ। ছবি: এক্স।
জেল থেকে বেরিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। শুক্রবার তিনি জানালেন, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তকে লোকসভা ভোটে তেলঙ্গানায় প্রার্থী করেছে বিজেপির জোটসঙ্গী তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। এই আবগারিকাণ্ডেই জেলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় অভিযুক্ত মাগুন্তা শ্রীনিবাসুলু রেড্ডির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি। অঙ্গোলে থেকে রেড্ডিকে প্রার্থী করেছে টিডিপি।
শুক্রবার সঞ্জয় বলেন, ‘‘যিনি আবগারি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কী করছেন। ওই ব্যক্তি লোকসভা ভোটে এখন তেলঙ্গানায় টিডিপির প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেখিয়ে ভোট চাইছেন রেড্ডি।’’
বুধবারই তিহার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন সঞ্জয়। এই আবগারিকাণ্ডে এখন জেলে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। সঞ্জয়ের অভিযোগ, কেজরীওয়ালকে জেলে পাঠানোর নেপথ্যে রয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ‘বড় ষড়যন্ত্র’ করলেন তাঁরা। আপ নেতার কথায়, ‘‘আবগারি দুর্নীতি করেছে বিজেপি। দলের শীর্ষনেতারা এর সঙ্গে জড়িত।’’
সঞ্জয় জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আবগারিকাণ্ডে রেড্ডির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। রেড্ডি তখন ওয়াইএসআর কংগ্রেস করতেন। সঞ্জয়ের দাবি, তিনি কেজরীর বিরুদ্ধে বয়ান দেননি বলে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর ছেলে রাঘব রেড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ মার্চ ছেলেকে নিয়ে টিডিপিতে যোগ দেন রেড্ডি। আপ নেতা আরও জানান, রেড্ডি তিনটি বয়ান দিয়েছিলেন। আর তাঁর ছেলে সাতটি। ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রথম বার কেজরী নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রেড্ডিকে। তিনি জানিয়েছিলেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জমির বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। এর পর তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরেই তিনি বয়ান বদলে ফেলেন বলে জানান সঞ্জয়।
সঞ্জয়ের আরও দাবি, ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারির পর ছ’টি বয়ানে কেজরীর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি রেড্ডির ছেলে রাঘব। এর পর সপ্তম বয়ানে তিনি কেজরীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। সঞ্জয় জানিয়েছেন, জেলে পাঁচ মাস অত্যাচারেই বয়ান বদলেছেন রাঘব।