কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুনের মামলায় এ বার সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, হাই কোর্টের নির্দেশ কেন কার্যকর করা হল না?
গত ১ ফেব্রুয়ারিতে ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় এনআইএ-কে যুক্ত করেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু কোনও মামলার তদন্ত এনআইএ-কে দিয়ে করাতে গেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতির প্রয়োজন হয়। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও এই মামলায় এনআইএ তদন্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কিছু জানায়নি।
শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, তিনি চিঠি দিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। যা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে আগ্রহ দেখায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’’ তার পরই তিনি সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন। হাই কোর্ট জানায়, ১৫ দিনের মধ্যে এনআইএ-কে তদন্তভার গ্রহণ করতে হবে। ২৪ এপ্রিলের মধ্যে এই মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ কার্যকরের কথা জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।
গত বছর মে মাসে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়াঁ (৬০)-কে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, ময়নার বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকার বাসিন্দা বিজয়কৃষ্ণকে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী ও ছেলে সুরজিৎও। পরে বিজয়ের রক্তাক্ত দেহ বাড়ির অদূরে পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয়। এই ঘটনার বিজয়ের স্ত্রী ময়না থানায় ৩৪ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার হন তিন জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন তৃণমূল কর্মী। তাঁরাও গোরামহল গ্রামেরই বাসিন্দা।