(বাঁ দিকে)বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সায়রা হালিম (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম মনোনয়ন জমা করলেন বৃহস্পতিবার। তার পরই গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে। দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের ভোটার তিনিও। বাড়ি গিয়ে সিপিএমের প্রবীণ নেতার আশীর্বাদ নেন সায়রা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লড়াই জয়ের কথা বলেছেন বুদ্ধদেব।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে গত ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের মালা রায়। এ বার তাঁর সঙ্গেই লড়াই সায়রার। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তাদের বিদায়ী সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। সায়রা এই কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই পুরোদমে শুরু করেন প্রচার। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিয়ে চলে যান বুদ্ধদেবের বাড়িতে। সেখানে তাঁর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুদ্ধদেব তাঁকে বলেছেন, এই লড়াই জিততে হবে। সায়রার কথায়, ‘‘ওঁর থেকে এই ভরসাটা নিতে এসেছিলাম।’’ তিনি এও জানিয়েছেন, আগের থেকে বুদ্ধদেব অনেকটাই সুস্থ।
গত কয়েক বছর অসুস্থ হয়ে ঘরবন্দি বুদ্ধদেব। শ্বাসকষ্টের কারণে বেশ কয়েক বার হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে বাড়িতে রয়েছেন। তবে ভোটের খবরাখবর রাখছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সায়রা পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মীরা জানিয়েছেন সে কথা। আরও জানিয়েছে, সায়রার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেছেন বুদ্ধদেব।
২০০০ সালে সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমের সঙ্গে বিয়ে হয় সায়রার। তবে তখন তিনি রাজনীতিতে যোগ দেননি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে স্বামী ফুয়াদ বালিগঞ্জে প্রার্থী হলে সায়রা প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। এর পরে ২০১৬ সালে সিপিএমের তৎকালীন জোটসঙ্গী কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণা দেবনাথের হয়েও প্রচারে নামেন। তবে রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে। প্রার্থী হয়েছিলেন ফুয়াদ। স্ত্রী হিসেবে প্রচারের বড় অংশের দায়িত্বই ছিল সায়রার কাঁধে। ২০২২ সালে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন।