Ballygunge

CPM: বালিগঞ্জে সিপিএম প্রার্থী নাসিরুদ্দিন শাহর ভাইঝি সায়রা, কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে

কলকাতাতেই জন্ম। কিন্তু লেখাপড়া, বড় হওয়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে। কাজ চালানোর মতো বাংলা বলতে পারেন।

Advertisement

পিনাকপাণি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ১৯:৩২
Share:

সায়রা শাহ হালিম।

সায়রা শাহ হালিম। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বাম মনোনীত সিপিএম প্রার্থী। বুধবার দুপুরে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে নাম ঘোষণার পরে সন্ধ্যাতেই প্রচারে নেমে পড়ছেন সায়রা। সেই প্রস্তুতির ফাঁকেই কথা বললেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। জানালেন, অতীতে স্বামীর হয়ে ভোটের প্রচার করেছেন। কিন্তু এ বার নিজে প্রার্থী হয়ে যাওয়ার পরে এই লড়াইটাকে ‘ভীষণ চ্যালেঞ্জিং’ মনে হচ্ছে।
কলকাতাতেই জন্ম। কিন্তু লেখাপড়া, বড় হওয়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে। কাজ চালানোর মতো বাংলা বলতে পারেন। সায়রা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের ভাইঝি। তাঁর বাবা জমিরুদ্দিন শাহ ছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল। সৈনিক বাবার মেয়ে হিসেবে গোটা ছোটবেলাটাই কেটেছে দেশের নানা প্রান্তে। ঘুরে ঘুরে। একেবারে ছেলেবেলাটা কেটেছে কলকাতার রেস কোর্সের কাছে সেনা কোয়ার্টারে। এর পরে জমিরুদ্দিন মেয়েকে ভর্তি করে দেন উটির লরেন্স স্কুলে। সেখানে পাঠ শেষ হতে না হতেই সায়রার বাবা ভারতীয় কূটনীতিক হিসেবে সৌদি আরবে চলে যান। ফলে সায়রা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন রিয়াধের এক স্কুলে। এর পরে কলেজ আবার রাজস্থানের অজমেরে। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী সায়রা নিজের জন্ম শহর কলকাতায় ফেরেন বিবাহসূত্রে।

Advertisement

কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে সায়রা শাহ হালিম।

২০০০ সালে সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমের সঙ্গে বিয়ে হয় সায়রার। তবে তখন তিনি রাজনীতিতে যোগ দেননি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে স্বামী ফুয়াদ বালিগঞ্জে প্রার্থী হলে সায়রা প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। এর পরে ২০১৬ সালে সিপিএমের তৎকালীন জোটসঙ্গী কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণা দেবনাথের হয়েও প্রচারে নামেন। তবে রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে। প্রার্থী হয়েছিলেন ফুয়াদ। স্ত্রী হিসেবে প্রচারের বড় অংশের দায়িত্বই ছিল সায়রার কাঁধে।

বিয়ের পরে স্থায়ী ভাবে কলকাতায় গত ২১ বছর ধরে রয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে বড় মেয়ে নুরা লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে পড়তে চলে গিয়েছেন। ছোট মেয়ে লা মার্টিনিয়ারের ছাত্রী ফরিস্তাও অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। সায়রাও ঠিক করেন, এ বার পুরো সময় রাজনীতি করবেন। কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বহুজাতিক সংস্থার প্রশাসনিক বিভাগ সামলানো সায়রা চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি রাজনীতি করবেন বলে ঠিক করেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ আসনে খুবই কম ভোট পায় সিপিএম। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি অন্য রকম বলে মনে করছেন সায়রা।

Advertisement

সপরিবার সায়রা শাহ হালিম।

তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ই যে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ সেটা বুঝিয়ে দিলেন সায়রা। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতিতে থাকলেও নির্বাচনের ময়দানে তো নতুন মুখ। আমি মনে করি, আমার উপরে মানুষ আস্থা রাখবেন। যাঁরা বার বার দলবদল করেন, ভোটারদের ছেড়ে যান, তাঁদের নয়, আমাকেই আশীর্বাদ করবেন।’’

দলের নীতির প্রতি আনুগত্য দেখানোর পাশাপাশি পারিবারিক পরিচয় নিয়েও গর্বিত সায়রা। তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান যে, খুবই বড় পরিবারে জন্মেছি। আমার বাবা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। আমরা কাকা অভিনয়ের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন।’’

স্ত্রী দলীয় প্রার্থী হওয়ায় খুশি ফুয়াদও। তিনি বলেন, ‘‘এটা দলের মূল্যায়ন। তবে আমিও মনে করি সায়রা যোগ্য প্রার্থী।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement