Lok Sabha Election 2024

শাড়িতে লক্ষ্মীর ভান্ডারের লোগো, ‘পাল্টে ভোট দিতে আসুন’ বলতেই কালনায় কলহ, কী ঘটল তার পর?

যে মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের লোগো দেওয়া শাড়ি পরে ভোট দিতে এসেছিলেন, তাঁর দাবি, তিনি তৃণমূল কর্মী। পুলিশকর্মী তাঁকে শাড়ি পাল্টে আসতে বলায় তিনি অসম্মানিত হয়েছেন বলে দাবি করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১৯:৫১
Share:

লক্ষ্মীর ভান্ডারের লোগো দেওয়া শাড়ি পরে ভোটকেন্দ্রে মহিলা ভোটার, শুরু পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া। —নিজস্ব চিত্র।

ভোট দিতে গিয়েছিলেন সদ্য পাটভাঙা শাড়ি পরে। কিন্তু বাদ সাধল শাড়ির ‘প্রিন্ট’। ভোটারের শাড়িতে লক্ষ্মীর ভান্ডারের লোগো থাকায় তাঁকে শাড়ি পাল্টে বুথে ভোট দিতে এসে নির্দেশ দিতে এসেছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মী। তাই নিয়ে শুরু তর্কাতর্কি। সোমবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার কালনার শ্রীরামপুরের একটি বুথের ঘটনা। যে মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের লোগো দেওয়া শাড়ি পরে ভোট দিতে এসেছিলেন, তাঁর দাবি, তিনি তৃণমূল কর্মী। পুলিশকর্মী তাঁকে শাড়ি পাল্টে আসতে বলায় তিনি অসম্মানিত হয়েছেন বলে দাবি করেন।

Advertisement

কালনার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁদপুর জিএসএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। পুলিশ তাঁকে শাড়ি পাল্টে আসতে বলায় সেখানে চলে যান পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক। তাঁর সঙ্গে জোর তর্কাতর্কি হয়। তৃণমূল নেতার যুক্তি, ‘‘যে শাড়ি নিয়ে ‘আপত্তি’ করা হচ্ছে, তাতে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীক নেই। এটি একটি সরকারি প্রকল্পের লোগো। সুতরাং সেখানে আপত্তি কিসের? কেনই বা উনি শাড়ি পাল্টে অন্য শাড়ি পরে আসার কথা বলবেন?’’

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, ‘‘ভোট দিয়ে যদি উনি বেরিয়ে আসেন, তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, ওই শাড়ি পরে যদি তিনি বার বার ভোটকেন্দ্রের সামনে ঘোরাঘুরি করেন, তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন। এবং উনি সেটাই করেছেন। তাই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।’’ এই বিতর্ক প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের কটাক্ষ, ‘‘খামখেয়াল নাকি! আমরা নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানাব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement