আশফাক করিম এবং লালুপ্রসাদ যাদব। ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার আগেই বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) এক প্রাক্তন সাংসদ তথা দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা আশফাক করিম ইস্তফা দিলেন। ভোটের মুখে করিমের দলত্যাগ আরজেডির কাছে একটা ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। কেন তিনি দল ছাড়লেন, তার কারণ জানিয়ে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকেও চিঠি লিখেছেন এই প্রবীণ নেতা।
রাজ্যসভায় আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ করিম। চিঠিতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, মুসলিমদের উন্নয়নের কথা ভাবছে না দল। তাঁদের প্রাপ্য অধিকারের জন্য লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা-ও ঠিক মতো পূরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে লালুপ্রসাদকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন করিম। তাই দলের এই ভূমিকায় তিনি অত্যন্ত হতাশ। আর সে কারণেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।
তবে সূত্রের খবর, রাজ্যসভার সাংসদপদের মেয়াদ শেষ হতেই করিমকে কটিহার থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘মহাগঠবন্ধন’-এর আসন ভাগাভাগিতে কটিহার আসনটি কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছে। কংগ্রেস এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রবীণ নেতা তারিক আনওয়ারকে প্রার্থী করেছে। তবে রাজনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও কটিহার থেকে প্রার্থী না করার কারণেই দলের নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন করিম।
শুধু তাই-ই নয়, সীমাঞ্চলের কটিহার, পূর্ণিয়া, আরারিয়া এবং কিষানগঞ্জেও যে আরজেডির প্রভাব কমছে, সেই দাবিও করেছেন করিম।