রাজনাথ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
বিহারে দাঁড়িয়ে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা মিসা ভারতীকে কটাক্ষ ছুড়লেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রবিবার একটি রাজনৈতিক সভা থেকে গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে মিসার মন্তব্য উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, ‘‘কিসনে মা কা দুধ পিয়া হ্যায় কি মোদীজি কো জেল মে ডালেগা’’ (কে মায়ের দুধ খেয়েছে যে মোদীজিকে জেলে পাঠাবে?)
আরজেডি সাংসদ মিসা গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন। সমালোচনা করে বলেন, ‘‘আমরা এমএসপি (ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য)-র কথা বলছি। আর উনি (মোদী) তাতেও তোষণের রাজনীতি দেখছেন। যখনই উনি বিহারে আসেন আমার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। কিন্তু দেশের মানুষ যদি ‘ইন্ডিয়া’কে সুযোগ দেয়, তা হলে প্রধানমন্ত্রী থেকে একের পর এক বিজেপি নেতা জেলে থাকবেন।’’ যদিও পরে তিনি নিজের ওই মম্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমি বলতে চেয়েছি, বিজেপির দুর্নীতিগ্রস্তেরা জেলে যাবেন।’’ বিহারে এসে ওই প্রসঙ্গ তুলে আরজেডিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন রাজনাথ। যদিও মিসার বাবা লালুকে ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। জামুইয়ে একটি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘লালুজি আমার বন্ধু। কিন্তু তাঁর পরিবার বলছে, যদি তারা সরকার গড়তে পারে তাহলে মোদীজিকে জেলে পাঠাবেন!’’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, এই মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য এমন কোনও মন্তব্য করা সমীচীন নয়।
উল্লেখ্য, রেলে ‘জমির বদলে চাকরি’ দেওয়া সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের ইডির মামলায় নাম জড়ায় লালু এবং রাবড়ী দেবীর কন্যার। সিবিআই ২০২২ সালের অক্টোবরে ওই মামলার চার্জশিট পেশ করেছিল। তাতে লালু, রাবড়ী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমা যাদবের নাম ছিল সেখানে। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম ছিল চার্জশিটে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন মিসা।