Lok Sabha Election 2024

বিজেপির জেলা সভাপতিই ফাঁসিয়েছেন গঙ্গাধরকে! সন্দেশখালি জুড়ে পোস্টার মণ্ডল সভাপতির, অস্বস্তি

পোস্টারে জেলা সভাপতি তাপস ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাঁতের অভিযোগ করা হয়েছে। দাবি, তাপস ঘোষ তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁত করে গঙ্গাধরকে ফাঁসিয়েছেন। পোস্টারে লেখা মণ্ডল সভাপতি শান্তনু পাইকের নাম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ১৫:৪৭
Share:

সন্দেশখালিতে পড়া সেই পোস্টার। — নিজস্ব চিত্র।

স্টিং অপারেশনের ভিডিয়োয় দেখা যাওয়া সন্দেশখালিতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে কি বিজেপির লোকেরাই ফাঁসালেন? এই প্রশ্ন তুলে দিল সন্দেশখালির রাস্তাঘাটে দেখা মেলা একাধিক পোস্টার। ওই এলাকার অন্য এক মণ্ডল সভাপতির নাম দিয়ে পোস্টার পড়েছে। যেখানে বিজেপির বসিরহাট সংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভোটের ঠিক মুখে নতুন অস্বস্তিতে বিজেপি।

Advertisement

সম্প্রতি সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) যা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, সন্দেশখালিতে যে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তা ‘সাজানো’ এবং বাংলাকে কলুষিত করতেই সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ দায়ের করানো হয়েছে। গোপন ক্যামেরায় বন্দি এক ভিডিয়োয় বিজেপিরই সন্দেশখালি-২-এর মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সেখানকার আন্দোলন গোটাটাই ‘সাজানো’। আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি। পরে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সন্দেশখালির মহিলা অভিযোগকারিণীরাও। একের পর এক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ওই সমস্ত ভিডিয়োরও সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর সন্দেশখালি নিয়ে ‘চাপে’ বিজেপি। দিল্লির নেতাদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে বিশেষ কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই প্রেক্ষিতে এ বার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ সন্দেশখালি। যা ভোটের আগে বিজেপির অস্বস্তি বৃদ্ধি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সেই পোস্টারে জেলা সভাপতি তাপস ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাঁতের অভিযোগ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, তাপস ঘোষ তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁত করে গঙ্গাধরকে ফাঁসিয়েছেন। পোস্টারের নীচে লেখা মণ্ডল সভাপতি শান্তনু পাইকের নাম। বিজেপি নেতা শান্তনু অবশ্য পোস্টার দেওয়ার দায় অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘পোস্টারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার বদনাম করার জন্য এবং জেলা সভাপতি তাপস ঘোষের বদনাম করতে তৃণমূল চক্রান্ত করে এই পোস্টার লাগিয়েছে।’’

Advertisement

জেলা সভাপতি তাপসও পোস্টারের বিষয় নিয়ে অস্বস্তিতে। তিনি এর চাপিয়েছেন তৃণমূলের ঘাড়ে। তাপস বলছেন, ‘‘শান্তনু পাইকের উপর আমার পুরো ভরসা আছে। শান্তনুরও আমার উপর পুরো ভরসা আছে। শান্তনু এই ধরনের পোস্টার লাগাতেই পারেন না। আমি বিশ্বাস করি না। এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। সন্দেশখালিতে তৃণমূল হারতে বসেছে। সেটা তৃণমূল জেনেও গিয়েছে। সেই কারণে একের পর এক বিভিন্ন রকমের ভিডিয়ো, পোস্টার মেরে বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা করছে।’’

তৃণমূল অবশ্য এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement