—ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলে এ বার জেলে পাঠাবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। জেল থেকে বেরোনোর পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেল থেকে সাময়িক মুক্তি পেয়েছেন কেজরী। তার পরেই শনিবার দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই কেজরী বলেন, ‘‘যদি বিজেপি আবার ক্ষমতায় ফেরে, তবে দেশের সমস্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীকে জেলে যেতে হবে।’’ কেজরীর কথায় তামিলনাড়ুর এমকে স্তালিন থেকে শুরু করে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা— বাদ যাবেন না কেউ।
লোকসভা ভোটের মুখেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও ইডি গ্রেফতার করে। শনিবার সেই প্রসঙ্গেই কেজরীওয়াল বলেছেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে সমস্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীকে জেলে ভরে দেশের রাজনীতিকেই খতম করে দেবে।’’
কেজরী বলেছেন, ‘‘এখন আমাদের (আপ) মন্ত্রীরা, হেমন্ত সোরেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্ত্রীরা সব জেলে পড়ে রয়েছেন। আর এরা যদি এ বার ক্ষমতায় ফেরে তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্তালিন, তেজস্বী যাদব, পিনারাই বিজয়ন, উদ্ধব ঠাকরে-সহ সমস্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীকে জেলে পাঠাবে।’’
তবে মোদীর নিশানায় খাস বিজেপিরও এক নেতা রয়েছেন বলে দাবি করেছেন কেজরী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিতে এখন লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, শিবরাজ সিংহ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, এমএল খট্টর, রমন সিংহদের রাজনীতি শেষ। ওদের পরবর্তী লক্ষ্য যোগী আদিত্যনাথ। দেশের ক্ষমতায় ফেরার দু’মাসের মধ্যেই যোগীকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে সরিয়ে দেবে বিজেপি।’’
শুক্রবারই কেজরীকে ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ-ও জানিয়েছে, কেজরীকে ২ জুন আবার জেলে ফিরতে হবে। শনিবার কেজরী তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আম আদমি পার্টিকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে চেয়েছেন। চেষ্টার কোনও কসুর রাখেননি তিনি। কিন্তু ভগবানের দয়ায় আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি।’’ কেজরী জানিয়েছেন, গত ৭৫ বছরে আর কোনও রাজনৈতিক দলকে এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়নি।