—প্রতীকী চিত্র।
কেউ আইনের কথা বলছে। কেউ বলছে ড্রপ বক্সে বন্ডের নথি ফেলে দিয়ে গিয়েছিলেন অজ্ঞাতপরিচয় দাতা। আবার কেউ বলছেন ডাক মারফত বন্ডের নথি পাঠিয়েছেন কেউ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদানের দাতাদের নাম না জানিয়ে এমনই যুক্তি দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। গত কাল বিভিন্ন দলের বক্তব্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। মোট ১১টি দল দাতাদের নাম জানিয়েছে।
তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া অনুদানের ৭৭ শতাংশই পেয়েছে লটারি ব্যবসায়ী সান্টিয়াগো মার্টিনের ‘ফিউচার গেমিং’ সংস্থার কাছ থেকে। এম কে স্ট্যালিনের দল জানিয়েছে, তারা অনুদানের পরিমাণ জানতে দাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই প্রকল্পে দাতার তথ্য গ্রহীতাকে জানানোর কথা নয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আমরা আমাদের দাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুদানের পরিমাণ জানতে পেরেছি।’’ বিষয়টি নিয়ে ডিএমকে-কে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী এডিএমকে। তাদের দাবি, অনলাইন গেমিং-এর বিরুদ্ধে ‘দুর্বল’ আইন তৈরি করেছিল ডিএমকে সরকার। তার পরে অনলাইন গেমিং কোম্পানির কাছ থেকে অনুদান নিয়েছে। ডিএমকে-র পাল্টা দাবি, বদলে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি সান্টিয়াগোকে। রাজ্যপালই অনলাইন গেমিংয়ের বিরুদ্ধে আইনে স্বাক্ষর করতে দেরি করেন।
প্রায় রহস্য কাহিনির ধাঁচে অনুদান পাওয়ার কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল ও বিহারের শাসক জোটের শরিক জেডিইউ। তৃণমূলের বক্তব্য, নির্বাচনী বন্ডের নথি দলীয় অফিসের ড্রপ বক্সে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিছু বন্ড বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠান অনেক সমর্থক। তাঁদের অনেকেই পরিচয় জানাতে চান না। এ দিকে অজ্ঞাতপরিচয় দাতার ১০ কোটি টাকার বন্ড খামে ভরে পটনায় তাদের দফতরে পাঠানোর কথা বলেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। ৩ কোটি টাকার বন্ডে অবশ্য ভারতী এয়ারটেল ও শ্রী সিমেন্টের নাম জানিয়েছে তারা।
কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির দাবি, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক আইন ও আয়কর আইনের সংশোধনের ফলে দাতাদের নাম জানানো সম্ভব নয়। বন্ডে দাতাদের নাম চেয়ে এসবিআই-কেই চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেস। পাল্টা চিঠিতে এসবিআই জানায়, দাতাদের নাম জানার কথা রাজনৈতিক দলেরই। এনসিপি জানায়, প্রতি বন্ডের দাতার নাম জানানো সম্ভব নয়। সেই হিসাব রাখেনি দল। তেলুগু দেশমও জানিয়েছে, দাতাদের তথ্য নেই। তালিকায় রয়েছে এডিএমকে, এসডিএফ, জেডিএস, জেকেএনসি, মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি, এমজিপি গোয়া, আপ, সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউ। সিপিএম, সিপিআই, এমএনএস, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও কেরল কংগ্রেস জানায়, তারা বন্ডের মাধ্যমে অনুদান নেয়নি।
সংবাদ সংস্থা