Tamluk TMC Worker Death

মহিষাদলে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ, ধৃতদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই, দাবি পদ্মশিবিরের

শুক্রবার সন্ধ্যায় রজনীগঞ্জ বাজার এলাকায় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় মইবুলের পথ আটকান কয়েক জন। ঝামেলার মধ্যেই মইবুলকে বাইক থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ১৫:০১
Share:

নিহত তৃণমূল কর্মী শেখ মইবুল। — ফাইল চিত্র।

ভোটের আগের রাতে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মহিষাদলে তৃণমূল কর্মী শেখ মইবুলের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। তবে মহিষাদলের বিজেপি নেতৃত্ব তা অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় রজনীগঞ্জ বাজার এলাকায় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় মইবুলের পথ আটকান কয়েক জন। শুরু হয় দু’পক্ষের বচসা। ঝামেলার মধ্যেই মইবুলকে বাইক থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপও মারা হয়। তার পর রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান দুষ্কৃতীরা।

স্থানীয়েরা প্রথমে মইবুলকে খুঁজে পাননি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। এর পরেই মইবুলকে প্রথমে মহিষাদল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ভোট শুরুর আগেই থমথমে হয়ে পড়ে এলাকা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হলেন, মিঠুন মান্না, তাপসী দাস মান্না, দুলাই মান্না, বিমল মান্না ও সুব্রত মাইতি। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলে দাবি পদ্মশিবিরের।

মহিষাদলের বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিজেপির কেউ জড়িত নন। পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করেছে, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এরা (পুলিশ) সাধারণ মানুষদের ধরে ধরে মিথ্যে কেস দিচ্ছে। আর বিজেপির নামে কুৎসা করছে।’’

মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা সকলকে শান্ত থাকার জন্য বলছি। নির্বিঘ্নে যাতে ভোট শেষ হয়, সেটাই এখন আমাদের প্রাথমিক কাজ। তবে ওই রজনীগঞ্জ বাজার এলাকায় দফায় দফায় অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। বুথে বুথে ঝামেলা করছে। আমি আমার দলের কর্মীদের বলেছি বিজেপির ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement