প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে আগামী পরশু, মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যে আগামিকালই বারাণসী পৌঁছে নিজের জন্য প্রচারে নামবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামিকাল মোদীর শোভাযাত্রা মদনপুরা এলাকায় পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানাবেন ভারতরত্ন ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের পরিবার। মুসলিম অধ্যুষিত মদনপুরায় সংখ্যালঘুদের দিয়ে পুষ্পবৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে শাসকদল। যা দেখে কংগ্রেসের কটাক্ষ, ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে সংখ্যালঘুদের ‘বন্ধু’ হিসেবে নিজেকে প্রতিপন্নের চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী। শোভাযাত্রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে বিজেপি। সঙ্গে থাকবেন পাঁচ হাজার মহিলাদের একটি দল। যাঁরা হাঁটবেন প্রধানমন্ত্রীর রথের সামনে।
শোভাযাত্রায় স্থানীয়দের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না বিজেপি। ওই এলাকার প্রতিটি বাড়িতে আমন্ত্রণ পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রীর শোভাযাত্রা কাশী পৌঁছলে সানাই, শঙ্খনাদ ও ডমরু ধ্বনিতে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। আগামিকাল রাতে কাশীর বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরশু সকালে কাশীর কোতয়াল বাবা কাল ভৈরব দর্শন করে ও তাঁর অনুমতি নিয়ে মনোনয়ন জমা দেবেন মোদী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে আন্তর্জাতিক রুদ্রাক্ষ প্রেক্ষাগৃহে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা প্রধানমন্ত্রীর।
এ দিকে, রায়বরেলীতে এক সাংবাদিককে বিজেপি কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি এক্স সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘দেশে দু’ধরনের মিডিয়া রয়েছে। এদের মধ্যে এক পক্ষ হল সেই ব্যক্তিরা যাঁরা মিথ্যা ও ঘৃণা ছড়ানোয় প্রধানমন্ত্রী পিঠ চাপড়ে দেন। অন্য পক্ষ,যাঁরা সত্যকে তুলে ধরতে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় নিজের কাজে ব্যস্ত এক সাংবাদিককে যে ভাবে পুলিশের মদতে মারধর করা হয়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট কেন ভারত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বে ১৫৯ নম্বরে রয়েছে। আমি এই সব নির্ভীক যুবকদেরপাশে রয়েছি’।