প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে স্লোগানে-স্লোগানে টক্কার লাগতে চলেছে। পাঁচ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের আগে যে স্লোগান তুলে তৃণমূলকে ভোটের ময়দানে নামিয়েছিলেন, শনিবার সে কথাই শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। ২০১৯ সালে মমতার সেই ‘৪২-এ ৪২ আসন চাই’ বার্তা এ বার মোদীও শোনালেন বিজেপির নেতা-কর্মীদের। তবে পাঁচ বছর আগে মমতার বার্তার পরেও তৃণমূল ৪২-এর থেকে অনেকটা দূরে ২২ আসনে জিতেছিল। এ বার মোদীর ডাকে কতটা পৌঁছতে পারবে পদ্ম-শিবির তা জানতে এখনও বেশ কিছু দিনের অপেক্ষা।
২০১৯ সালে রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে চেয়েছিল বিজেপি। কারণ, ২০১৪ সালে উত্তর ভারতে বিপুল জয় পেলেও মোদীর বিজয়রথ থমকে গিয়েছিল দিদির এই রাজ্যে এসে। মাত্র দু’টি আসনে জয় পেয়েছিল পদ্ম-শিবির। ২০১৯ সালে বিজেপি প্রকাশ্যে না-বললেও দলের নেতাদের তৎকালীর সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ২২ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। বিজেপি জিতেছিল ১৮ আসনে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে এ বার বিজেপির রাজ্য নেতাদের আশা ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ২৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা দেবেন। কিন্তু ভোটের আবহ তৈরি হওয়ার অনেক আগেই রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ ৩৫ আসনের লক্ষ্য দেন। পরে নভেম্বরে কলকাতার সমাবেশ থেকে শাহ বলেন, ‘‘৩৫-এর বেশি আসনে জয় চাই।’’ কিন্তু শনিবার প্রধানমন্ত্রী ৪২-এ ৪২ চাইলেন।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন পার করার লক্ষ্য নিয়েছে। মোদী অবশ্য লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, এনডিএ ৪০০ এবং বিজেপি একা ৩৭০ আসনে জয় পাবে। আর শনিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মোদী বলেন, ‘‘বাংলার বিকাশ হলেই দেশের বিকাশ হবে। প্রতি লোকসভায় পদ্ম ফোটাতে হবে। এ বার এনডিএ সরকার ৪০০ আসন পার করবে।’’ একই সঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘আপনাদের গ্রামে গ্রামে যেতে হবে আগামী ১০০ দিন। প্রতি বাড়িতে যেতে হবে। গিয়ে বলতে হবে। মোদীজি আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন।’’