Javed Akhtar

ছেলে ব্যস্ত, দেখা করতে হলে আগে থেকে সময় নিতে হয়! এই বয়সে বাবা হিসাবে কী উপলব্ধি জাভেদের?

একটা সময় ছিল, না জানিয়েই বাড়িতে আত্মীয়েরা এসে হাজির হতেন। আত্মীয়দের আপ্যায়নও করা হত মন দিয়ে। কিন্তু এখন সে সব অতীত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১২
Share:

ফারহান কি জাভেদকে আর সময় দেন না? ছবি: সংগৃহীত।

ছোট পরিবার। কিন্তু তা-ও পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার জন্য সামান্য সময় পাওয়াও যেন বিরাট ব্যাপার। তাই পরিবারে বাবা-ছেলের দেখা করার জন্যও আগে থেকে সময় নিতে হয়। এমনই পরিস্থিতি জাভেদ আখতার ও ফারহান আখতারের মধ্যে। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানান জাভেদ।

Advertisement

একটা সময় ছিল, না জানিয়েই বাড়িতে আত্মীয়েরা এসে হাজির হতেন। আত্মীয়দের আপ্যায়নও করা হত মন দিয়ে। কিন্তু এখন সে সব অতীত। এখন বাবা-ছেলের সাক্ষাতের জন্যও আগে থেকে সময় নিতে হয়। জাভেদ বলেন, “আমার পরিবার খুব ছোট। আমার একটা মাত্র ছেলে আর একটাই মেয়ে। তা ছাড়া শাবানা আর আমি একসঙ্গে থাকি। ছেলে ও মেয়েরা তাঁদের নিজেদের বাড়িতে থাকে।”

ছোট পরিবার হলেও পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার সময় হয় না। তাই জাভেদের মতে, “আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে বহু আগে থেকেই সময় নিতে হত। আমরাও ছোটবেলায় তাই-ই দেখেছি। মানুষ এগুলো শুনলে চমকে যেত। আর এখন আমরা সকলেই সেই জীবনযাপনই করছি।” নিজের ছেলে ফারহানের সঙ্গে দেখা করতে হলেও তিন থেকে পাঁচ দিন আগে ফোন করে সময় নিতে হয় জাভেদকে।

Advertisement

ছেলেমেয়েদের আলাদা থাকা নিয়েও কথা বলেন জাভেদ। গীতিকারের কথায়, “জীবন আসলে এমনই। সন্তানদের উপর জোর খাটানো ঠিক নয়। পশুদের দেখুন। জন্মানোর পরে সন্তানদের জন্য ওরা জীবন পর্যন্ত দিতে পারে। কিন্তু বাচ্চারা বড় হওয়ার পরে ওরা কিন্তু ছেড়ে দেয়। একমাত্র মানুষদের মধ্যেই দেখা যায়, ৪০ বছরের সন্তানের উপরেও জোর খাটান বাবা-মায়েরা। এটা কিন্তু স্বাভাবিক নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement