বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছবি: পিটিআই।
দু’দিন প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধরে ধ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার দুপুরে ধ্যান ভাঙলেন তিনি। তার পর আকাশি কুর্তা, সাদা ধুতি পরে বেরিয়ে এলেন বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল থেকে। সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
শনিবার দেশে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। তার মাঝেই দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ প্রকাশ্যে এল এএনআইয়ের একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা গিয়েছে, মন্দির থেকে ধুতি-কুর্তা পরে বেরিয়ে আসছেন মোদী। গলায় সাদা-লাল উত্তরীয়। পায়ে জুতো। দুই পাশে রয়েছেন দুই রক্ষী। এর পর লঞ্চে বসে সাগর পার হচ্ছেন তিনি।
এর আগে শনিবার সকালে কন্যাকুমারীতে প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানে দেখা গিয়েছে, মোদীর পরনে গেরুয়া ধুতি-কুর্তা। গলায় গাঢ় গেরুয়া উত্তরীয়। হাতে জপমালা নিয়ে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে পায়চারি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভিডিয়োতে আরও দেখা গিয়েছে, সূর্যোদয়ের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য দিচ্ছেন মোদী। কখনও তিনি বেদির সামনে বসে প্রাণায়াম করছেন। কখনও জপ করছেন। কখনও আবার হাঁটছেন মেমোরিয়াল চত্বরে। বিবেকানন্দের বিগ্রহের পায়ে ফুল সাজাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার পর বিগ্রহের চার পাশে ঘুরে আবার বসেছেন ধ্যানে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছিলেন মোদী। শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলে ধ্যান। এই দু’দিন মৌনব্রত ছিল মোদীর। শুধুই তরল জাতীয় খাবার খেয়েছেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি গিয়েছিলেন কেদারনাথে। ২০১৪ সালের ভোটের পর গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রতাপগড়ে।
বিরোধীরা এই নিয়ে সরব। তাদের দাবি, এতে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি (এমসিসি) ভঙ্গ হচ্ছে। বিজেপির সাংসদ তথা মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মোদী ভারতের সাংস্কৃতিক নীতিতে বিশ্বাসী। আর সেই সংস্কৃতি দেশের মন্দিরে প্রতিফলিত হয়। বিরোধীরা এ সব বুঝবে না, কারণ, তারা সনাতন ধর্ম নির্মূল করতে চায়।