Income Tax Notice

কংগ্রেসের ৩৫০০ কোটির ‘বকেয়া আয়কর’ কাটা হবে না ভোটের সময়: সুপ্রিম কোর্টে বলল মোদী সরকার

‘বকেয়া আয়কর’ বাবদ ৩৫৬৭ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে, এমনটা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে ‘কর সন্ত্রাস’ চালানোর অভিযোগ তোলে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০২
Share:

(বাঁ দিক থেকে) সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র

লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে আপাতত স্বস্তিতে রাখল আয়কর দফতর। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আয়কর দফতরের তরফে জানানো হল, ভোটের আগে তারা কংগ্রেসের ৩৫০০ কোটি টাকার ‘বকেয়া আয়কর’ নিয়ে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে চায় না।

Advertisement

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আয়কর দফতরের হয়ে সওয়াল করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেটা। তিনি জানান, ৩৫০০ কোটি টাকার আয়কর উদ্ধার করতে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে চায় না আয়কর দফতর। এর ফলে ভোটের সময় বিরোধী দলগুলিকে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না বলে জানান তিনি। সলিসিটর জেনারেলের কথায়, “২০২৪ সালে তাদের (কংগ্রেস) ২০ শতাংশ আয়কর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তার পর ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। পরে ১৭০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। এখন গোটা বিষয়টি নির্বাচনের পরবর্তী সময়ের জন্য তোলা রইল। তত ক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনও পদক্ষেপ করব না।”

‘বকেয়া আয়কর’ বাবদ ৩৫৬৭ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে, এমনটা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে ‘কর সন্ত্রাস’ চালানোর অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ ছিল যে, ভোটের আগে প্রচারে বাধা দেওয়ার জন্যই অর্থনৈতিক ভাবে তাদের দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে সব দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছিল তারা।

Advertisement

সোমবার শুনানির জন্য বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্নের বেঞ্চে ওঠে। কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি শীর্ষ আদালতে সওয়াল করে জানান, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বকেয়া কর বাবদ ১৩৫ কোটি টাকা নিয়েছে। তার পরেই তিনি বলেন, “আমরা কোনও লাভজনক সংস্থা নই। আমরা একটি রাজনৈতিক দল।” লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হচ্ছে ৪ জুন। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই। অর্থাৎ, তত দিন পর্যন্ত স্বস্তিতে থাকল কংগ্রেসও।

শুক্রবারই ১৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলকে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কংগ্রেস আরও দু’টি নোটিস পায়। অন্তত এমনই দাবি করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। শুক্রবার বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়ে ১,৮২৩ কোটি টাকা কংগ্রেসের থেকে চাওয়া হয় বলে জানা যায়। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরেই পদক্ষেপ করা হয়। গত ১৩ মার্চ আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন দিল্লি হাই কোর্ট খারিজ করার পরে ধারাবাহিক ভাবে পদক্ষেপ শুরু করে আয়কর দফতর।

বৃহস্পতিবার ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের একটি নতুন আবেদন দিল্লি হাই কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। বিষয়টি ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কর সংক্রান্ত। কিন্তু গত ১৩ মার্চ বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এর আগে হিসাবের গরমিলের অভিযোগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং সুদ কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement