(বাঁ দিকে) ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
ওড়িশায় প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘ওড়িয়া ভাষা এবং সংস্কৃতি’ নবীনের অজানা, নাম না করে তাঁকে খোঁচাও দিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই খোঁটার পাল্টা জবাব দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ওড়িয়া ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে কতটা জানেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।
রবিবার তিন মিনিটের একটি ভিডিয়োবার্তা প্রকাশ করেন বিজু পট্টনায়কের পুত্র। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ওড়িশার কথা আপনার কতটা মনে আছে? ওড়িয়া একটি ধ্রুপদী ভাষা, আপনি সেটাই ভুলে গিয়েছেন। আপনি সংস্কৃত ভাষার জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন, কিন্তু ওড়িয়া ভাষার জন্য একটা টাকাও দেননি।’’ বিজু জনতা দলের (বিজেডি) প্রধান নবীনের কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ওডিশি সঙ্গীতের কথা ভুলে গিয়েছেন।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমি শাস্ত্রীয় ওডিশি সঙ্গীতের স্বীকৃতির জন্য দু’বার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রতি বারই প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’
ওড়িশায় প্রচারে এসে মোদী নবীন এবং তাঁর সরকারকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘‘এ বার ওড়িশায় ক্ষমতায় এলে বিজেপি এমন কোনও ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে, যিনি ওড়িয়া ভাষা জানেন। যিনি ওড়িশার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত।’’ এর পরেই নবীনের উদ্দেশে মোদী খোঁচা দিয়েছিলেন, ‘‘ওড়িশার সব ক’টি জেলার নাম বলুন তো।’’ এখানেই থামেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছিলেন, যিনি নিজে ওড়িয়া ভাষা এবং সংস্কৃতি জানেন না, তিনি কী ভাবে ওড়িশাবাসীর সঙ্গে একাত্ম হবেন, তাঁদের সমস্যার সমাধান করবেন?
রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে গিয়ে নবীন বলেন, ‘‘ওড়িশার প্রাকৃতিক সম্পদ কয়লা। আপনি (মোদী) ওড়িশা থেকে কয়লা নেন। কিন্তু গত ১০ বছরে কয়লার রাজস্ব বৃদ্ধি করার কথা ভুলে গিয়েছেন। শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় ওড়িশাকে মনে রেখে কোনও লাভ নেই।’’
২০১৪ এবং ২০১৯ সালে ওড়িশার জন্য মোদী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন বিজেডি প্রধান। তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘ওড়িশার মানুষ আপনার প্রতিশ্রুতিগুলি মনে রেখেছেন।’’ মোদী সরকারকে নবীনের প্রশ্ন, ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার ব্যাপারে কেন তারা ‘ওড়িশার সাহসী সন্তান’দের কথা ভুলে গেল? বিজেডি দলই আবার ওড়িশায় সরকার গড়বে, আশাবাদী তিনি।