প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। ছবি: পিটিআই।
ব্যারাকপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। সন্দেশখালির ‘স্টিং ভিডিয়ো’র প্রসঙ্গ তিনি সরাসরি তোলেননি। তবে সন্দেশখালিতে তৃণমূলের ‘নতুন খেলা’র কথা বলেছেন তিনি। সন্দেশখালির কোন খেলার কথা মোদী বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়ে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে।
রবিবার রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে প্রচার কর্মসূচি রয়েছে মোদীর। প্রথম সভাটি ছিল ব্যারাকপুরের ভাটপাড়ায়। অর্জুন সিংহের সমর্থনে সেখানে প্রচার করতে গিয়ে মোদীর মুখে শোনা গিয়েছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে কী চলছে, সারা দেশ তা দেখতে পাচ্ছে। সেখানকার অত্যাচারী নেতাদের তৃণমূলের পুলিশ বাঁচিয়েছে। এখন আবার ওখানে নতুন খেলা শুরু করেছে। তৃণমূলের গুণ্ডারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের ভয় দেখাচ্ছে। কারণ, ওখানে অত্যাচারীর নাম শাহজাহান শেখ। ওঁকে ক্লিনচিট দিতে চায় তৃণমূল।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে মোদী কলকাতায় পৌঁছনোর পর সন্দেশখালির দ্বিতীয় ‘স্টিং ভিডিয়ো’ প্রকাশ্যে আসে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সেই ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে। তাতেও একাধিক বার শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর নাম। প্রথম ভিডিয়োটিতে গঙ্গাধরকে স্বীকার করে নিতে শোনা গিয়েছিল যে, সন্দেশখালির আন্দোলন ‘সাজানো’। টাকার বিনিময়ে সেখানকার মহিলারা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ভিডিয়োটিরও সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার অনলাইন। পরের ভিডিয়োতেও সেই ‘সাজানো’ আন্দোলনের জন্য টাকার লেনদেনের হিসাব শোনা গিয়েছে। ভোটের মাঝে এই ভিডিয়ো নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি ‘ভুয়ো’। ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির মাধ্যমে তা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ভিডিয়ো নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে বয়ানও দিয়েছেন গঙ্গাধর। মামলা করা হয়েছে হাই কোর্টেও।
সন্দেশখালির এই ভিডিয়ো নিয়ে মোদীর মুখে কোনও কথা শোনা যায়নি। তবে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিজেপি দাবি করে আসছে, তৃণমূল এলাকার মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছে এবং অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। শনিবার বিজেপির অমিত মালবীয় দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা এক মহিলা কলকাতায় আসার পর তাঁকে মোমিনপুর বাজার এলাকা থেকে অপহরণ করেছেন তৃণমূলের প্রধান। তাঁকে এখন অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমন একাধিক অভিযোগ এনে তৃণমূলকে পাল্টা চাপে রাখতে চাইছে বিজেপি। রবিবার মোদীর মুখে শোনা গেল ‘নতুন খেলা’-র কথা।