রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের সমর্থনে সভায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: বিকাশ সাহা।
দীর্ঘ সময় দিঘির পাশে অপেক্ষায় ছিলেন মানুষজন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পরে এলেন তিনি এবং অপেক্ষা উচ্ছ্বাসের রূপ নিল। অভিনেতা-রাজনীতিক মিঠুন চক্রবর্তী এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে এসে যখন পৌঁছলেন, ততক্ষণে সন্ধ্যা গাঢ় হয়েছে।
এ দিনের নির্বাচনী সভায় মিঠুন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভা ভোটে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার সম্পর্কে বলেন, ‘‘সুকান্ত সৎ। ভাল মানুষ। ওঁকে ভোট দিন।’’ অন্য দিকে, তৃণমূল সম্পর্কে মিঠুনের মন্তব্য, ‘‘যে দল গরু চুরি করে, কয়লা-বালি চুরি করে, সে দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন না। আমরা সুন্দর বাংলা গড়ব। এটাই মোদীর গ্যারান্টি।’’
আদিবাসী-প্রধান তপনে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করে গিয়েছেন। সেই জনসভায় ভিড় কম হয়েছিল বলে দাবি উঠেছিল। এ দিন তপনে মিঠুনের সভার ভিড় বিষয়ে সুকান্তের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কমছে। মানুষ ওঁকে আর চাইছেন না। আজ তপনের ভিড় সেটাই প্রমাণ করল।’’
এ দিন দুপুরে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে কালিয়াগঞ্জে জনসভা করেন মিঠুন। সভায় সন্দেশখালির ১২ জন ‘নির্যাতিতা’ উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি বিজেপির। বিজেপি সূত্রের দাবি, ২০২৩ সালে উত্তর দিনাজপুরের মৃতার পরিবার ও পুলিশের গুলিতে মৃত রাধিকাপুরের চাঁদগাঁওয়ের মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের স্ত্রী গৌরী বর্মণকেও সভায় আনা হয়েছিল।
মিঠুন গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন। এ দিন সেই কৃষ্ণেরই বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করলেন। কৃষ্ণ প্রসঙ্গে মিঠুন এ দিন বলেন, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত দলে কৃষ্ণ যোগ দেওয়া দুঃখ হচ্ছে।’’ সেই সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী কার্তিককে ‘সৎ’ বলে উল্লেখ করেন মিঠুন। কৃষ্ণের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত দল বিজেপি। এক সময় মিঠুন তৃণমূলে ছিলেন। দুঃখ এটাই যে, বিজেপির মতো দুর্নীতিগ্রস্ত দলের হয়ে তিনি প্রচার করছেন।’’ এ দিনের প্রচারে রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতারের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেন মিঠুন।