(বাঁ দিকে) এইচডি রেভান্না এবং প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ডে আরও বিপাকে পড়লেন জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) প্রধান এইচডি দেবগৌড়ার পুত্র এইচডি রেভান্না। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করল বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। যাতে তিনি দেশ ছাড়তে না পারেন, তাই এই নোটিস জারি বলে সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহে প্রজ্বলের যৌন কুকীর্তির হাজার তিনেক ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) ভরা একটি পেন ড্রাইভ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারী দেবরাজ গৌড়ার দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে হাসনের সাংসদ কয়েক হাজার মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন করে সেই ভিডিয়ো নিজেই তুলে রাখতেন। তিনি বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতাদের ব্ল্যাকমেল করাই উদ্দেশ্য ছিল প্রজ্বলের।’’ ঘটনার পরেই অবশ্য দেশ ছেড়েছেন দেবগৌড়ার নাতি।
কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই মোতাবেক তদন্ত শুরু করেছে তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রজ্বল এবং তাঁর বাবা এইচডি রেভান্নাকে তলব করে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও কেউই এখনও তদন্তকারী অফিসারদের সামনে হাজিরা দেননি। তদন্তকারী অফিসারদের আশঙ্কা, জেরা এড়াতে এইচডি রেভান্না দেশ ছাড়তে পারেন। তাই আগেভাগেই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হল। অন্য দিকে, দেবগৌড়ার পুত্রের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে অপহরণ করার অভিযোগও উঠেছে।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশ ছাড়া প্রজ্বল। তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, গ্রেফতার হতে পারেন, এমন আশঙ্কা করেই দেশ ছেড়েছেন প্রজ্বল। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জোরে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তের জন্য প্রজ্বলকে ভারতে ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আইন অনুযায়ী তদন্তের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। প্রজ্বল এখন ঠিক কোথায় আছেন, তার উত্তর নেই তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। তবে এর মধ্যেই দেবগৌড়ার নাতি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, ‘‘সত্য সামনে আসবেই।’’