বোমাবাজিতে আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
ভোটগ্রহণ শনিবার। তার এক দিন আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। গ্রেফতার করা হল তৃণমূল নেতা ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপিকে। অন্য একটি ঘটনায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। আহতদের কয়েক জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা বাপিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাক্তন প্রধান রেজিনা খাতুনের স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগ ছিল। শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ খাইরুল ইসলামকে খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ দিন ছয়ানি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পোলেরহাট থানার পুলিশ। ভগবানপুর অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি বাপি আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। পুলিশ সুত্রে খবর, শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
অন্য দিকে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠল আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার বানিয়ারা এলাকার ঘটনা। দলীয় কর্মসূচি সেরে এলাকার তৃণমূল নেতা রফিক খান কর্মীদের নিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁদের উপর বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মোট পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত। গুরুতর আহতদের কয়েক জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে সায়নী একটি ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে তিনি বলেন, “প্রচারের শেষ দিন সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ভাঙড়ে একটি ঘটনা ঘটেছে। ভাঙড়ের ভোগালি ১ এবং ২-এর বানিয়ারা গ্রামে আমাদের পঞ্চায়েত কর্মীদের উপর বোমাবাজি করেছে আইএসএফ। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মহিলা এবং বাচ্চারাও রয়েছেন। আইএসএফ এই বোমাবাজির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভাঙড়ের মানুষ তৃণমূলকেই চায়। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে আইএসএফ শান্ত ভাঙড়কে অশান্ত করার যে চেষ্টা করছে তার প্রতিবাদ অবশ্যই হবে। ভাঙড়ের মানুষ আইএসএফের কফিনে শেষ পেরেক আগামী ৪ জুন পুঁততে চলেছে।” যদিও আইএসএফের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বুধবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভা এলাকার দু’প্রান্তে সংঘর্ষের অভিযোগ সামনে আসে। কোচপুকুরে আইএসএফ কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, জিরানগাছায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে।