বসন্ত উৎসবে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। নিজস্ব চিত্র।
রঙের উৎসবকে হাতিয়ার করে রবিবার সকালে জনসংযোগ সেরে নিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। ছুটির দিনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করলেন আসানসোলের বাম প্রার্থী জাহানারা খান।
দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ লাগোয়া ময়দানে প্রাক-বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিলেন লোকসভা ভোটে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রে দলের তরফে দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কীর্তির বর্ধমানে কর্মসূচি ছিল। সেখানে যাওয়ার আগে সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ তিনি পৌঁছে যান ময়দানে। আবির দিয়ে তিনিই উৎসবের উদ্বোধন করেন। এই উৎসবে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন উদ্যোক্তারা। কীর্তি বলেন, ‘‘রঙের উৎসব চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই উৎসব সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে থাকে।’’ প্রায় ৪০ মিনিট থাকার পরে তিনি এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডলকে নিয়ে বর্ধমান রওনা দেন।
পরের দিকে ওই অনুষ্ঠানে আসেন দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়েরা। বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘উৎসবে শামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষজন।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এ দিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অধিকাংশ নেতা হাজির হওয়ায় দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে একজোট হয়ে লড়াই করার বার্তা গিয়েছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে।
ছুটির দিনে বার্নপুরে বাড়ি বাড়ি ঘুড়ে প্রচার করলেন আসানসোলের সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান। এ দিন সকাল থেকে শুরু হয় তাঁর প্রচার। ইস্পাত শহর ও আশপাশের এলাকায় জাহানারার দিনভর প্রচারের মূল বক্তব্য ছিল, রাজ্যের ‘দুর্নীতি’ ও কেন্দ্রের ‘গরিব বিরোধী নীতি’। জাহানারার দাবি, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাচ্ছেন তিনি।