কালীঘাটে উচ্ছ্বাস তৃণমূল সমর্থকদের। ছবি: সারমিন বেগম।
বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এঁদের মধ্যে ১৪ জন তৃণমূলের। এক জন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী। এঁরা হলেন—ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান, ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক, বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল, হাওড়ার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, উলুবেড়িয়ার সাজদা আহমেদ, মেদিনীপুরের জুন মালিয়া, বাঁকুড়ার অরূপ চক্রবর্তী, বর্ধমান পূর্বের ড. শর্মিলা সরকার, বর্ধমান দুর্গাপুরের কীর্তি আজাদ, আসানসোলের শত্রুঘ্ন সিন্হা এবং বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল। এ ছাড়া বাংলার যে এক জন বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী হিসাবে ঘোষণা করেছে কমিশন, তিনি হলেন রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এই ফলাফলই দেখা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। যদিও গণনা কেন্দ্রের খবর অনুযায়ী যাদবপুরের সায়নী ঘোষ, কলকাতা উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলির রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, মথুরাপুরের বাপি হালদার জয়ী হয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে রাজ্যে এখনও ১৫টি আসনে ‘এগিয়ে’ রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে ১২টি আসনে। কংগ্রেস ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদহ উত্তরে এগিয়ে বিজেপি। মালদহ দক্ষিণে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী। কোচবিহারে ২০ হাজার ৫৬১ ভোটে এগিয়ে জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়া। পিছিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
কলকাতা উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে ২১,৩৩৩ ভোটে।
কলকাতা দক্ষিণে মালা রায় এগিয়ে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৭৬ ভোটে।
বাঁকুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী এগিয়ে ২০,০৩৮ ভোটে।
বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এগিয়ে ৯৯৭৩ ভোটে।
বীরভূমে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় এগিয়ে ৯৪ হাজার ৭৯৪ ভোটে।
বোলপুরে তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল এগিয়ে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৫৯ ভোটে।
পুরুলিয়ায় জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এগিয়ে ৯১১৫ ভোটে।
পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল প্রার্থী ড. শর্মিলা সরকার এগিয়ে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৪৭ ভোটে।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজ়াদ এগিয়ে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৫০ ভোটে। পিছিয়ে দিলীপ ঘোষ।
আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা এগিয়ে ৬০,৮৩৪ ভোটে।
কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী এগিয়ে ৮৬৬ ভোটে।
ঘাটালে তৃণমূল প্রার্থী দেব এগিয়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার ২২০ ভোটে।
তমলুকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এগিয়ে ১৮২৮১ ভোটে।
মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া এগিয়ে ৪০,৮৯১ ভোটে।
শ্রীরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে ৫১,৩৪৩ ভোটে।
আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ এগিয়ে ৩০,৮৪১ ভোটে।
হুগলিতে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে ৩৫,৩৬৬ ভোটে।
হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৫ ভোটে।
উলুবেড়িয়ায় তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ এগিয়ে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩২৫ ভোটে।
বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এগিয়ে ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৩০২ ভোটে।
যাদবপুরে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ এগিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫০৪ ভোটে।
মথুরাপুরে তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার এগিয়ে ৮৫,০০৮ ভোটে।
জয়নগরে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল এগিয়ে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৫৬ ভোটে।
ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার২০৭ ভোটে।
ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক ৫৪ হাজার ভোটে এগিয়ে। পিছিয়ে অর্জুন সিংহ।
দমদমে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় এগিয়ে ৩৪ হাজার ৫৫৬ ভোটে।
বারাসতে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার এগিয়ে ৯০ হাজার ভোটে।
বনগাঁয় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এগিয়ে ৪১ হাজার ৯৬৪ ভোটে।
নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতেই বিকেল ৩টে পর্যন্ত এগিয়ে তৃণমূল।
কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এগিয়ে রয়েছেন ৫০ হাজার ৪৭৭ ভোটে।
বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান এগিয়ে আছেন ৩৩ হাজার ৯৩৪ ভোটে।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান এগিয়ে ৫৩ হাজার ৫৬৮ ভোটে।
জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এগিয়ে ৫৮ হাজার ভোটে।
রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাখ সরকার এগিয়ে ৪৮ হাজার ৫৫৭ ভোটে।
ফল অনেকটাই স্পষ্ট। বাংলায় তৃণমূল শুধু ২০-র বেশি নয়, এগিয়ে রয়েছে ৩০-এর বেশি আসনে। অন্য দিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১০টিতে। অর্থাৎ, বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় করা বাংলার ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী যে মিলছে না, সে ব্যাপারে আর তেমন সন্দেহ নেই। মঙ্গলবার সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসল বিশেষ বৈঠক। মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা এবং অভিষেক ঠিক করছেন, এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে।
কালীঘাটে বিজয়োল্লাস। সবুজ আবিরে উদ্যাপন তৃণমূল সমর্থকদের। ছবি: পিটিআই
প্রথম কয়েক রাউন্ডে এক বার এগোচ্ছিলেন আর এক বার পিছিয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু বেলা যত গড়াল ততই ভোটের সংখ্যা বাড়তে শুরু করল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কৃষ্ণনগদরের রানিমা অমৃতা রায়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে মহুয়ার ব্যবধান গিয়ে ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৩১৪ ভোটে। সেই খবর শোনার পরই সাইকেলে চড়ে কৃষ্ণনগরের গণনাকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হলেন মহুয়া। তাঁকে দেখা গেল তৃণমূলের দেওয়া সবুজ সাথীর সাইকেলের পিছনে বসে গণনাকেন্দ্রে পৌঁছতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে গণনাকেন্দ্রে তাঁকে ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে হাসি ফুটল মহুয়ার মুখে।
দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিনি হুগলিতে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮০৮ ভোট। তবে এখনও অনেক রাউন্ড গণনা বাকি। তাই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন। একই সঙ্গে সন্দেশখালিতে তৃণমূল প্রার্থীর এগিয়ে থাকা প্রসঙ্গে রচনার বক্তব্য, ‘‘ভগবান আছেন এবং সততার দাম আছে, তার প্রমাণ মিলল।’’
হুগলিতে রচনা বন্দ্যেপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে। —নিজস্ব চিত্র
সন্দেশখালি ইস্যুতে তপ্ত বসিরহাটে সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। একই সঙ্গে বিজেপির কিছু নেতা এমনও দাবি করেছিলেন যে, সন্দেশখালিই হতে চলেছে এ বারের লোকসভা ভোটের সিঙ্গুর। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল সন্দেশখালি প্রভাব ফেলেনি তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে। প্রায় তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। এই ঘটনার কিছু পরেই বসিরহাটে বিজেপির একটি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দেব বনাম হিরণ লড়াইয়ে এ বার বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন দেব। দুপুর পৌনে একটা নাগাদ পাওয়া ভোট পরিসংখ্যান বলছে, ঘাটালে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়েছেন দেব। হিরণের প্রাপ্ত ভোট পৌঁছেছে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০২-এ। ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন দেব। অন্য দিকে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন জুন মালিয়াও। জুন ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ১২৬ ভোট পেয়েছেন দুপুর ১টা পর্যন্ত। অগ্নিমিত্রার থেকে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ৩৬, ১৫০। অন্য দিকে, ঝাড়গ্রামে এখনও এগিয়েই তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেন পেলেন ২ লক্ষ ৩ হাজার ২৯৪ ভোট। বিজেপির প্রার্থী প্রণত টুডু এখন ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৬০ ভোটে। ৪০ হাজার ৮৩৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
প্রচারে বিরোধী প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনাকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের ফল বলছে, দিলীপকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজ়াদ। ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের পতাকা এবং হাতুড়ি হাতে উল্লাস। —নিজস্ব চিত্র।
এই ভোটসংখ্যা প্রকাশ্যে আসতেই হাতে হাতুড়ি নিয়ে জয়োল্লাসে মাতেন তৃণমূল কর্মীরা। ফলঘোষণার আগেই আবির খেলা শুরু করে দেন তাঁরা। একটি পেল্লাই হাতুড়ি নিয়ে উল্লাসে মাতেন এক কর্মী। মুহুর্মুহু উঠছে জয় বাংলা শ্লোগান।
বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এগিয়ে রয়েছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৮০৩ ভোটে। ১২টা পর্যন্ত তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৫৯। রেখা পেয়েছেন ২ লক্ষ ১১ হাজার ৭৫৬ ভোট। এই ভোটসংখ্যা প্রকাশ্যে আসার পরে তৃণমূলের কর্মীরা বিজয়োল্লাস শুরু করেন। পাল্টা জবাবে রেখা পাত্র বলেন, যারা শুরুতে জেতে, তারা শেষে হারে। আমার শুরুতে কম ছিল। শেষে আমিই জিতব। যদিও বসিরহাটে রেখা এবং হাজি নুুরুলের ভোট ব্যবধানে সেই সুযোগ কম বলেই মনে করছেন অনেকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই কেন্দ্রেই। এক দিকে ঘাটালে দেব বনাম হিরণ। অন্য দিকে, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে টানটান প্রতিযোগিতা চলছে জুন মালিয়া এবং অগ্নিমিত্রা পালের। ১২টা নাগাদ ঘাটালে দেবের প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৪২৫। হিরণ পেয়েছেন ১ লক্ষ ২১ হাজার ৫৩৩ ভোট। প্রায় ২১ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন দেব। মেদিনীপুরে অগ্নিমিত্রা ১৫৭৩ ভোটের ব্যবধানে পিছনে ফেলে দিয়েছেন জুনকে। ঝাড়গ্রামেও ২১ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে ফেরা ব্যরাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিংহ পিছিয়ে রয়েছেন ১০ হাজার ভোটে। তাঁর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক এগিয়ে রয়েছেন। অন্য দিকে দমদমে ৮১৮৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন সৌগত রায়, বারাসতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার এগিয়ে রয়েছেন ৩৯৮৮০ ভোটে। তবে বনগাঁয় বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এগিয়ে রয়েছেন ৫০২২ ভোটে।
নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতে এগিয়ে তৃণমূল। কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র এগিয়ে রয়েছেন ৩৮ হাজার ৯০৪ ভোটে। বহরমপুরে পিছিয়ে গেলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেখানে আপাতত এক নম্বরে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। মুর্শিদাবাদে প্রথম দিকে এগিয়ে থাকলেও আপাতত ১৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। এ ছাড়া জঙ্গিপুরে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল, রানাঘাটে বিজেপি।