(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নওশাদ সিদ্দিকি (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোষণা করেনি বিজেপি। প্রথম দফার তালিকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে প্রার্থী দিল না নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ-ও। আটটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। তবে তাতে নেই ডায়মন্ড হারবার। যে কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রথম কথা ভাসিয়েছিলেন নওশাদ নিজেই। ধর্মীয় একটি জলসায় ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছিলেন তাঁর দাদা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও।
যে আটটি কেন্দ্রে আইএসএফ প্রথম দফায় প্রার্থী ঘোষণা করেছে সেগুলি হল, মালদহ উত্তর, মুর্শিদাবাদ, বসিরহাট, ঝাড়গ্রাম, জয়নগর, বারাসত, মথুরাপুর এবং শ্রীরামপুর। সিপিএমের সঙ্গে কয়েক বার আলোচনা হয়েছিল নওশাদের দলের। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ জানিয়ে দেন, সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। আইএসএফ এ ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সিপিএম নেতৃত্বও। শুক্রবার ফের বৈঠকে বসছে বামফ্রন্ট। সেখানে আইএসএফের সঙ্গে তাদের ভবিষ্যৎ সমাকরণ কী হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে।
যে যে আসনে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছে, তার মধ্যে শ্রীরামপুরে ইতিমধ্যেই সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। মুর্শিদাবাদ আসনেও সিপিএম যে লড়বে, তা পাকা। সেখানেও প্রার্থী দিয়েছে নওশাদের দল। তবে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আইএসএফ নেতৃত্ব।
আইএসএফের প্রার্থিতালিকা।
নওশাদ কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, দল চাইলে তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন। এখন সেই আইএসএফ নেতারা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, এ নিয়ে দলের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। অন্য দিকে বিজেপি-ও প্রার্থী ঘোষণা করেনি ডায়মন্ড হারবারে। ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ প্রার্থী হলে বা তাঁর দল প্রার্থী দিলে সিপিএম সমর্থনের বার্তা দিয়েছিল। কংগ্রেসকেও সেই মর্মে বুঝিয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আইএসএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই আটই শেষ নয়, তারা আরও আসনে প্রার্থী দেবে। কোন কোন আসনে প্রার্থী দেবে তা ঠিক করে ধাপে ধাপে জানানো হবে।