বিজেপির সদর দফতরে বৈঠক। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কাদের প্রার্থী করবে, তা নিয়ে একাধিক আলোচনা চলছে পদ্মশিবিরের অন্দরে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থী চূড়ান্ত করার ব্যাপারে বৈঠক হয় বিজেপির সদর দফতরে। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবারই প্রাথমিক প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাইয়ে জন্য এ বার বিজেপি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে। যেমন কাকে প্রার্থী করা যেতে পারে, তা স্থির করতে সাধারণ মানুষের থেকে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রার্থীদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং উচ্চ স্তরে কৌশলগত আলোচনা করেই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেই বিজেপি সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার বিজেপির সদর দফতরে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দলের সভাপতি জেপি নড্ডা। এ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা ওই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩৭০ আসন পাবে, এমনই দাবি করেছেন মোদী। বিজেপি ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তাই প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক ভাবনাচিন্তা করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তৃণমূল স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়েছে পদ্মশিবির। ‘নমো অ্যাপ’ ব্যবহার করে জনসাধারণের থেকে তাঁদের সাংসদ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দলীয় কর্মীদের থেকেও তাঁদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কাকে প্রার্থী করা যেতে পারে, তার জন্য তিন জন নেতাকে বেছে নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একাধিক মাপকাঠির উপর জোর দেওয়া হয়েছ। মূলত, দু’টি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে সেই সমীক্ষা করেছে বিজেপি। রাজ্য স্তরে এবং কেন্দ্রীয় স্তরে সেই সমীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেই প্রার্থিতালিকায় সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পেশাদার সমীক্ষক দলকে দিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে আরও খবর, অন্তত ৬০ থেকে ৭০ জন বর্তমান সাংসদ এ বারের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। সেই জায়গায় নতুন মুখকে সামনে আনা হতে হবে। এ ছাড়াও বিপক্ষ দলের প্রার্থীর জনপ্রিয়তাও মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে খবর। তবে অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) অন্তর্গত সাংসদদের আবারও প্রার্থী করা হতে পারে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে ৮৫ জন ওবিসি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর বিজেপি সূত্রে।