—প্রতীকী চিত্র।
আরও একটা লোকসভা নির্বাচন চলে এল। অথচ, বিগত একাধিক নির্বাচনে পরিকাঠামো তৈরির টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ সরকারি ঠিকাদারদের। তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ছোট-বড় মিলিয়ে ঠিকাদারের সংখ্যা শ’তিনেক। অভিযোগ, সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। ঠিকাদাররা জানান, বিভিন্ন ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা, অস্থায়ী শৌচালয়, ছাউনি-সহ নানা কাজের বরাত দেওয়া হয় তাঁদের। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ভোটে এই কাজ করে এলেও সরকারের তরফে টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও পূর্ত, সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি-সহ বিভিন্ন দফতরের কাজের টাকাও বকেয়া রয়েছে ঠিকাদারদের। আরও অভিযোগ, ২০১৭ সালে সরকারের তরফে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেঁধে দেওয়া হয়। এত বছরে বাজারে সেই সব সামগ্রীর দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকারি ঠিকাদারদের সেই পূর্ব নির্ধারিত দামেই কাজ করতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত হারে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়নি বলেও অভিযোগ।
রাজ্য জুড়েই এই সমস্যা চলছে। বকেয়া মেটানোর দাবিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার শরৎ সদনে সম্মেলনের ডাক দিয়েছে ঠিকাদারদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। ফেডারেশন অফ কন্ট্রাক্টরর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রবিবার ডায়মন্ড হারবারে সেই সম্মেলনেরই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজা মুখোপাধ্যায় বলেন, “বকেয়া মেটানোর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর-সহ নবান্নেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই সারা রাজ্যের ঠিকাদারদের নিয়ে যৌথ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেই মঞ্চের পক্ষে থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সম্মেলন হবে। আমাদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আমরা সরকারি ঠিকাদার।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “ঠিকাদারদের বকেয়া বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।”