(বাঁ দিকে) নরেন চট্টোপাধ্যায়। বিমান বসু (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তাদের বর্ষীয়ান নেতা নেপাল মাহাতকে সেখানে প্রার্থী করেছে তারা। সেই আসনেই সোমবার একক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্টের শরিকদল ফরওয়ার্ড ব্লক। তারা ধীরেন মাহাতোর নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাঁকে ‘বামফ্রন্টের প্রার্থী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিল না সিপিএম।
সোমবার ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পুরুলিয়া আসনে আমাদের প্রার্থীর নাম অনেক দিন আগেই বামফ্রন্টে জানিয়েছিলাম। কিন্তু ঘোষণা করা হয়নি। আমাদের পক্ষে আর অপেক্ষা করা সম্ভব নয়।’’ এই প্রার্থী কি বামফ্রন্টের প্রার্থী? নরেনের জবাব, ‘‘সেটা ফ্রন্ট চেয়ারম্যান শ্রদ্ধেয় বিমান বসু বলতে পারবেন। আমরা মনে করি, পুরুলিয়ায় বামপন্থী প্রার্থী ধীরেন মাহাতই।’’ কিন্তু অতঃপর বামফ্রন্টে ফরওয়ার্ড ব্লকের অবস্থান কী হবে? নরেন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা বামফ্রন্টে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’’
বিমান বসুর প্রতিক্রিয়ার জন্য আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সিপিএম নেতা সুখেন্দু পাণিগ্রাহী জানিয়ে দেন, ‘‘এ সব নিয়ে বিমানদা কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না।’’ তবে ঘরোয়া আলোচনায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী ‘বামফ্রন্টের প্রার্থী’ নন। সিপিএমের এক নেতার কথায়, বামফ্রন্ট মনোনীত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হিসেবে তাদের প্রার্থী রয়েছে দু’টি আসনে। কোচবিহার এবং বারাসত। পুরুলিয়ার ‘দায়’ নিতে চাইছে না সিপিএম।
ইতিমধ্যে কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। আবার ঘাটালে সিপিআইয়ের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। সেই প্রার্থী নিয়ে অবশ্য কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। তাঁকে বদল করতে পারে এআইসিসি। ফলে একাধিক আসনে বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের মধ্যেও ‘সুষ্ঠু’ বোঝাপড়া হচ্ছে না। আইএসএফ আগেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে একক ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। এ বার বাম শরিক এবং কংগ্রেসের মধ্যেও বোঝাপড়া ষোলো আনা হল না।