গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতো তাঁকেও লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দেওয়া হোক। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই আর্জি জানিয়েছেন, জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
হেমন্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৭ মে-র মধ্যে ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর জবাব চেয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) সংক্রান্ত রাঁচীর বিশেষ আদালত সোমবারই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে।
জমি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল হেমন্তকে। গ্রেফতারির আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ইডির গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতে আগেই আবেদন জানিয়েছেন হেমন্ত। বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি দত্তকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে সেই আবেদনটিও বিচারাধীন। প্রাথমিক ভাবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ আগামী ২০ মে শুনানির দিন ধার্য করলেও হেমন্তের আইনজীবীদের অনুরোধে তা ১৭ মে করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতোই লোকসভা ভোটে দলের প্রচারের জন্য পিএমএলএ আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন হেমন্ত। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন নাকচ করেছে আদালত। প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরীওয়ালকে লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিতে গত ১০ জুন ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হেমন্তের আইনজীবী কপিল সিব্বল সেই উদাহরণ তুলে ধরে সোমবার শুনানিতে বলেন, ‘‘আমার মক্কেলও চান লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিয়ে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক।’’