Lok Sabha Election 2024

গণতন্ত্র নেই দলে! অভিযোগ জানিয়ে কংগ্রেস ছাড়লেন বিহারের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি

বিহারে গত ১০ বছরে মোট চার জন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি দল ছাড়লেন। ২০১৮ সালে দলের প্রাক্তন সভাপতি অশোক চৌধুরী জেডিইউ-তে যোগ দেন। ২০১৫ সালে আর এক প্রাক্তন সভাপতি রামযতন সিন্‌হা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৫
Share:

বিহারের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অনিল শর্মা। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

দলে গণতন্ত্র নেই, এমন অভিযোগ করে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছাড়লেন বিহারের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অনিল শর্মা। লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে একদা বিহারের বাহুবলী নেতা রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদবের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অনিল।

Advertisement

রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি। অনিল বলেন, “আজ দলের নেতৃত্ব দিল্লির সভা নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলা হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র দেখা যায় না।” অনিলের অভিযোগ, দলের নির্বাচিত সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী কেসি বেণুগোপালের পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেন না।

বিহারে গত ১০ বছরে অনিলকে নিয়ে মোট চার জন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি দল ছাড়লেন। ২০১৮ সালে দলের প্রাক্তন সভাপতি অশোক চৌধুরী নীতীশের দল জেডিইউ-তে যোগ দেন। ২০১৫ সালে আর এক প্রাক্তন সভাপতি রামযতন সিন্‌হা-ও জেডিইউ-তে যোগ দেন। তারও আগে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি মেহবুব আলি রামবিলাস পাসোয়ানের দল এলজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন।

Advertisement

অনিল অবশ্য কংগ্রেস ছেড়ে কোন দলে যোগ দিচ্ছেন, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে গুঞ্জন যে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসকর্মী হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন অনিল। দলের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে একাধিক সাংগঠনিক পদে ছিলেন তিনি। নিজের কথা বলতে গিয়ে অনিল বলেন, “জীবনে কখনও টিকিটের জন্য লবি করিনি। কিন্তু যত দিন সভাপতি ছিলাম, তত দিন আরজেডির সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেছি।” কংগ্রেস অবশ্য অনিলের দল ছাড়ার ঘোষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না। দলের মিডিয়া সেলের চেয়ারম্যান রাজেশ রাঠৌর রবিবার একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, “ভীতুর মতো পালাচ্ছেন অনিল। নরেন্দ্র মোদীর পায়ে নিজেকে সমর্পণ করার জন্য যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement