Lok Sabha Election 2024

কর্মিসভাতেই বিরোধীদের নিশানা মন্ত্রীর

রবিবার মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে দলীয় কর্মিসভায় বিজেপিকে বিঁধে এ কথা বললেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩৬
Share:

মালদহ উত্তর ও দক্ষিণের তৃণমূলের দুই প্রার্থীকে সাথে নিয়ে দুর্গা কিঙ্কর সদনের কর্মী সভায় ফিরহাদ হাকিম। ছবি: স্বরূপ সাহা।

‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মোদী সরকারের বিভাজনের স্কিম। সিএএর মাধ্যমে বিভাজন করা হচ্ছে যে, তুমি হিন্দু না মুসলিম,’’ —রবিবার মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে দলীয় কর্মিসভায় বিজেপিকে বিঁধে এ কথা বললেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম। এদিন বিকেলে রবিবাসরীয় প্রচারে হাজির ছিলেন তৃণমূলের উত্তর মালদহের প্রার্থী প্রসূন বন্দোপাধ্যায় এবং দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান। কর্মিসভার পাশাপাশি এ দিন প্রসূন সকালে আদিবাসী ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের সঙ্গে ও বিকেলে সাংস্কৃতিক জগতের লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করেন। শাহনওয়াজ কালিয়াচকে প্রচার করেন। বিজেপির উত্তর মালদহের প্রার্থী খগেন মুর্মু হরিশ্চন্দ্রপুর ও গাজলে প্রচার চালান। দক্ষিণ মালদহে বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী এলাকায় প্রচার করেছেন।

Advertisement

এদিন কলেজ অডিটোরিয়ামে নির্বাচনী কর্মিসভায় ফিরহাদের সঙ্গে ছিলেন জেলার দুই মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তাজমুল হোসেন, তৃণমূল জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সী-সহ সমস্ত বিধায়ক, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, দলের জেলা ও শাখা সংগঠনের নেতারা। ফিরহাদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো সর্বজনীন প্রকল্প করছেন, তখন লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিভাজনের প্রকল্প 'সিএএ' কার্যকর করল।’’ তাঁর দাবি, "১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সমস্ত মানুষ এ দেশে এসেছিলেন তারা এখন এ দেশের ভোটার। তাদের আধার কার্ড, রেশন কার্ড সহ যাবতীয় নথি রয়েছে। তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা মানে নতুন করে নাগরিক হতে হবে!" এ দিন কংগ্রেস ও সিপিএমকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি যখন বিভেদের রাজনীতি করছে তখন এই রাজ্যের কংগ্রেস ও সিপিএম নেতার মুখে বিজেপির কথা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। বরকত গনি খান চৌধুরী যখন বেঁচে, তিনি সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার কথা বলেন। সেই কংগ্রেস সিপিএমের হাত ধরেছে। গনি খানের সেই স্বপ্নকে সাকার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়। তৃণমূল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’’ সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘বিজেপিকে এ রাজ্যে ধরে এনেছিল তৃণমূলই। এখন এ সব কথা কেন?’’ জেলা কংগ্রেসের সহকারী সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, "পায়ের তলার মাটি সরেছে বলে উল্টোপাল্টা বলছেন ফিরহাদ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement