ইলামবাজারের বুথে ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
বার বার বুথে ঢুকছেন এক ব্যক্তি। ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থায় তা দেখে ফেলল নির্বাচন কমিশন। বীরভূমের ইলামবাজারের ২৫ নম্বর বুথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল প্রিসাইডিং অফিসারকে।
ইলামবাজারের ওই বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছিল সোমবার সকাল থেকেই। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেও তা ধরা পড়ে। দেখা যায়, ভোটারদের ধরে ধরে বুথের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনকি, ভোটারদের সঙ্গে ইভিএমের সামনে পৌঁছে যাচ্ছেন কেউ কেউ। আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোন বোতাম টিপতে হবে, কোথায় ভোট দিতে হবে। অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই এ সব চলতে থাকে। তিনি কাউকে বাধা দেননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার তৃণমূল নেতা ওহেদ আলি, নাজিমুদ্দিনেরা ভোট দেওয়াচ্ছিলেন। ওয়েব কাস্টিংয়ের মাধ্যমে দেখা যায়, ইলামবাজারের ২৫ নম্বর বুথে এক ব্যক্তি বার বার বুথে ঢোকার চেষ্টা করছেন এবং ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। প্রিসাইডিং অফিসার কিছু করছেন না। তৎক্ষণাৎ ওই অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রিজার্ভে রাখা অন্য ভোটকর্মীদের মধ্যে থেকে কিছু ক্ষণের মধ্যেই আর এক জন প্রিসাইডিং অফিসারকে পাঠানো হবে ওই বুথে।
উল্লেখ্য, ভোটে গোলমাল রুখতে নির্বাচন কমিশন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ বন্দোবস্ত করেছে। এ বার প্রতি বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোট চলাকালীন কোনও রকম অব্যবস্থা বা কারচুপির অভিযোগ যাতে ধরে ফেলা যায় সহজেই, সেই কারণেই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কোন বুথে কী ঘটছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকেই তা দেখা যাচ্ছে। তার মাধ্যমেই ইলামবাজারের কাণ্ড চোখে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে কমিশন।