বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে তিনি লড়তে চান, তা আগেই জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্রও জমা দেন। বুধবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহের মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে। খাদুর সাহিব আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অমৃতপাল।
কমিশন সূত্রে খবর, গত ১০ মে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন অমৃতপাল। তার পর তাঁর সেই মনোনয়নপত্র যাচাই করে বুধবার কমিশন জানায়, তাতে কোনও ত্রুটি নেই। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামাও জমা দিয়েছেন অমৃতপাল। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর সম্পদ রয়েছে মাত্র হাজার টাকা। তা ছাড়া কোনও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই। দশম শ্রেণি পাশ অমৃতপালের বিরুদ্ধে ১২টি ফৌজদারি মামলা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মামলাতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি।
পঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল গত বছর ১৮ মার্চ থেকে ফেরার ছিলেন। ‘ওয়ারিশ পঞ্জাব দে’ সংগঠনের নেতা অমৃতপাল ওই দিন তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে হামলা চালান অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে। সেখান থেকে নিজের সঙ্গীদের উদ্ধার করতেই শ’খানেক অনুগামীকে নিয়ে চড়াও হয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে দীর্ঘ দিন পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিলেন তিনি। অবশেষে গত বছর ২৩ এপ্রিল পঞ্জাবের মোগা থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। গ্রেফতারির পরই অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় জেলে পাঠানো হয়।
জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ)-এ গ্রেফতার হওয়া জেলবন্দি অমৃতপালকে ভোটে লড়ার জন্য ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তাঁর মা বলবিন্দর কৌর। এপ্রিলের শুরুতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘অমৃতপালকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এখন ও খাদুর সাহিব আসন থেকে নিজের রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। তবে অমৃতপাল কোনও দলের হয়ে লড়বেন না।’’
খাদুর সাহিব আসনটি ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতেছিল। সে বার হাত শিবিরের হয়ে লড়েছিলেন জসবীর সিংহ গিল। এ বার এই আসনে কুলদীপ সিংহ জিরাকে প্রার্থী করেছে তারা। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী মনজিৎ সিংহ মান্না এবং আপ প্রার্থী লালজিৎ সিংহ। লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফা অর্থাৎ ১ জুন এই আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে।