সিএএ অনুযায়ী আবেদনকারীদের দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র। ছবি: পিটিআই।
আইন কার্যকর হয়েছিল আগেই। লোকসভা ভোটপর্বের মধ্যে এ বার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) অনুযায়ী আবেদনকারীদের শংসাপত্র বিলি শুরু করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা প্রথম দফায় ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দিলেন।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সমস্ত অমুসলিম (হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি) ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে কাটিয়েছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএ-তে আবেদন জানাতে পারেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
এ ছাড়া নাগরিকত্ব আইনের ব্যাখ্যায় যাঁরা ৫ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদেরও আবেদনের কথা ভাবতে হতে পারে। ওই ৫ নম্বর ব্যাখ্যা বলছে, ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যাঁদের এ দেশে জন্ম, তাঁদের বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয় হলে, তিনিও এ দেশের নাগরিক। কিন্তু বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত এক জন ভারতীয় নাগরিক না হলেই সন্তানের নাগরিকত্বও প্রশ্নের মুখে পড়বে।
সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। কিন্তু তার পরে প্রায় পাঁচ বছর কার্যকর হয়নি ওই আইন। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ১১ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। তার ওই ঘোষণার পরেই নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদনের সুযোগ দিতে চালু হয় অনলাইন পোর্টাল। সেই পোর্টালে আবেদনকারীদের মধ্যেই ১৪ জনের নথিপত্র পরীক্ষার পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দিল মোদী সরকার।