—প্রতীকী ছবি।
ভোটের সময় বা তার পরে জীবনহানি, মারধরের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ আবারও জেলা প্রশাসনগুলিকে দিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার ভোট নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও), বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এ দিন মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। বুধবারই খড়গ্রামে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া ছাড়াও সতর্কতা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে কমিশনের নজরদারি বাড়ানোর প্রক্রিয়াও। অতীতের ভোটগুলিতে মুর্শিদাবাদ-মালদহের যে সব এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলিতে বেশি নজর থাকবে। প্রসঙ্গত, ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুরে ভোট হবে।
কমিশন সূত্রে খবর, ওই দফায় সব চেয়ে বেশি বাহিনী রাখা হবে মুর্শিদাবাদে জেলায় (১৯০ কোম্পানি)। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় ১১৪, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৬৪, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় ১২ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। মালদহে উত্তর ও দক্ষিণ আসন মিলিয়ে থাকবে ১৪৪ কোম্পানি বাহিনী। ১৩ মে, চতুর্থ দফায় ৫৯৬ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে ৫৭৮ কোম্পানি ৮টি লোকসভা আসনের জন্য। এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা, তাতে ১৪৮টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) মোতায়েন হবে।